ঢাকা | সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

এরশাদের ‘ঢাউস’ জোট

Admin 1 | প্রকাশিত: ৭ মে ২০১৭ ২৩:৪১

Admin 1
প্রকাশিত: ৭ মে ২০১৭ ২৩:৪১

দুটি দল ও দুটি রাজনৈতিক জোটের সমন্বয়ে সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) নামের একটি ‘বৃহত্তর জোট’ গঠন করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এই জোটে দুটি নিবন্ধিত দলসহ মোট ৫৮টি দল রয়েছে। সংখ্যার বিচারে এটা এখন দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক জোট। জোটের চেয়ারম্যান এরশাদ।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ নতুন এই জোটের ঘোষণা দেন। এই জোটে আছে দুটি দল জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এবং দুটি জোট জাতীয় ইসলামী মহাজোট ও বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ)। এর মধ্যে প্রথম দুটি দল নিবন্ধিত। ইসলামী মহাজোটে আছে ৩৪টি ইসলামি দল আর বিএনএতে আছে ২২টি দল। সব মিলিয়ে এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত দল হচ্ছে ৫৮টি। জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জোটের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে জোট তা ১৪-দলীয় জোট। আর আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে দল আছে ২০টি।

নতুন জোটের ঘোষণা দিয়ে এরশাদ বলেন, ‘রাজনৈতিক নীতি ও আদর্শের দিক থেকে আমরা সবাই স্বাধীনতার চেতনা, ইসলামি মূল্যবোধ তথা সব ধর্মের প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ আদর্শের অনুসারী এবং ধারক ও বাহক। আমাদের অঙ্গীকার আছে, এই জোটে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির জায়গা হবে না।’

এরশাদ বলেন, জোট গঠনের জন্য তাঁরা দুইভাবে জোটের শরিক নির্বাচনের নীতি গ্রহণ করেছেন। যেসব দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত তারা সরাসরি জোটের শরিক হিসেবে থাকবে। যেসব দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বা কিংবা নিবন্ধিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে, তাদের সমন্বয়ে মোর্চা বা জোট গঠন করে সেই জোটকে শরিক হিসেবে বৃহত্তর জোটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরশাদ দাবি করেন, জোটের বাইরে থাকা আরও দুইটি নিবন্ধিত দলের সঙ্গে তাঁদের কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তারাও জোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির পক্ষে তিনি, ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এমএ মান্নান, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাছের ওয়াহেদ ও বিএনএর চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী নতুন জোটের ঘোষণাপত্রে সই করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: