ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অর্থপাচার মামলা: এনু-রুপনসহ ১১ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

| প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২২ ২৩:২৪


প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২২ ২৩:২৪

আলোচিত ক্যাসিনোর সাথে জড়িত সহোদর এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের চার কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর ওয়ারী থানায় করা অর্থপাচার মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এনু রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আর রুপন ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক। ঘটনার পর তাদের বহিষ্কার করা হয়।

দণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- জয় গোপাল সরকার, মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন আছেন জামিনে। আর অন্য ছয় আসামি কারাগারে।

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-৩-এর পরিদর্শক মো. জিয়াউল হাসান বাদী হয়ে এনু ও আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলায় অন্যান্য আসামিকে সম্পৃক্ত করা হয়। এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে এর আগে বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে আরও ১২টি মামলা করা হয়।

পরে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির পরিদর্শক সাদেক আলী আওয়ামী লীগের গেন্ডারিয়া ইউনিটের সাবেক সহ-সভাপতি এনু ও যুগ্ম সম্পাদক রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর গত বছরের ৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছিল।

এরপর কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাড়ির দোতলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ ছিল, এনু এবং রুপন দীর্ঘদিন যাবত ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কালামের বাসায় নিয়ে রেখেছিলেন। কালাম সেগুলো নিজের কাছে রাখেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে একটি অপরাধ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: