ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পি কে হালদারকে দেশে ফেরাতে বার্তা পাঠিয়েছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২ ০৪:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২ ০৪:১৭

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চাঞ্চল্যকর হাজার কোটি টাকা লোপাট মামলার মূল অভিযুক্ত পি কে হালদারকে (প্রশান্ত কুমার হালদার) বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের ইন্টারপোল, বাংলাদেশের হাইকমিশন ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এরইমধ্যে বাংলাদেশে অবস্থিত ইন্টারপোল থেকে ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্টার ব্যুরোতে (এনসিবি) আসামিদেরকে বাংলাদেশে প্রত্যার্পণে ইলেক্ট্রনিক বার্তা পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৬ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকের এসব তথ্য জানান।

ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, এরইমধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বারাসাতের অশোকনগর এলাকা থেকে দেশটির কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ইডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ তার আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানতে পারি।আসামিদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনগত প্রক্রিয়ায় দুদকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ৬ জন গ্রেপ্তার হওয়ার তথ্য জানার পর এরইমধ্যে আগে জারি করা রেড এলার্ট নোটিশ ও দুদকের দায়ের করা মামলার সূত্রে বাংলাদেশে অবস্থিত ইন্টারপোল থেকে ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্টার ব্যুরোতে (এনসিবি) আসামিদেরকে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রত্যার্পণে ইলেক্ট্রনিক বার্তা পাঠানো হয়েছে।

শিগগিরই আরও কিছু কার্যক্রম নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসামিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক শিগগিরই আরও কিছু কার্যক্রম নেবে। আসামিদের ফেরাতে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে চিঠি দেওয়া ও যোগাযোগ করা হবে। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে। ভারতে পাচার করা অর্থ ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহের জন্য বিআইএফইউ বরাবর পুনরায় চিঠি দেওয়া হবে।

ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং অপরাধের দায়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলা তদন্তের সময় আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করা হলে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। বিদেশে পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। পরে ইন্টারপোলের চাহিদা অনুযায়ী আদালতের আদেশে আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্ট জারি করে। এরপর আদেশসহ আসামির আঙ্গুলের ছাপ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ ২০২১ সালের শুরুর দিকেই ইন্টারপোল বরাবর পাঠানো হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোল আসামির বিরুদ্ধে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে রেড এলার্ট জারি করে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: