odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

সিরাজদিখানে রাস্তা নির্মান কাজে নিন্ম মানের ইট ব্যবহার।

মো. আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ৭ November ২০২২ ০০:৫৬

মো. আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ৭ November ২০২২ ০০:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় রাস্তার নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বাহেরকুচি এলাকায় গিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে,  উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বাহিরকুচি এলাকায় ১৫০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানাযায়, প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ী রাস্তার নির্মাণ কাজ পায় ২০২০ সালে মেসার্স মোনালিসা নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালে নির্মাণ কাজ শেয় হবার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিলো। পরবর্তিতে সময় বর্দ্ধিত করে ঠিকাদার কিছুদিন ধরে পুনরায় কাজ শুরু করে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ সমাপ্তির কথা রয়েছে।

রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাগেছে, কিছু দিন পূর্বে রাস্তার কাজ শুরু করে। কাজ শুরু থেকেই নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করে। নাম মাত্র বালু দিয়ে পরবর্তিতে নিম্নমানের খোয়া সাথে বালু মিশেয়ে রাস্তায় ফেলেছে।  মোহাসিন নামের স্থানীয় এক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন এই রাস্তায় ৩/৪ নম্বার ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা কাজের লোকদের বললে তারা বলে এই ইট দিয়ে কাজ করার কথা আছে। ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মো . আসাদুজ্জামান জানান, এই রাস্তার ব্যাপারে একাধিক বার আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি কিন্তু কোনো ফল হয়নি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ৪ বছর ধরে এই রাস্তাটির কাজ শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি তাই এলাকাবাসীর ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। নিন্ম মানের ইটের বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে বেশ কয়েক বার যোগাযোগ করেছি । আজ আসছি কাল আসছি বলে ঠিকাদার আসেনা। প্রশাসনের কাছে দাবী করছি, রাস্তাটি তদন্ত করে ভাল মানের ইট ব্যবহার করে সরকারী নিয়ম মোতাবেক কাজ করা হোক।

এ বিষয়ে  বক্তব্যের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোনালিসা এর মালিক মো. বিল্লাল এর ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো রেজাউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন রাস্তাটি নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। কাজ শেষ করার জন্যে আমরা ঠিকাদরকে চিঠি পাঠানোর পরে পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে। শিডিউলে যা আছে তার ব্যতিক্রম করার সুযোগ নেই। তার পরও বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কোন অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: