ঢাকা | সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রেসক্লাবের আলোচনা সভায় তোফায়েল

একুশ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা ১৫ আগষ্টের ধারাবাহিকতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৭ ১৭:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৭ ১৭:০১

 

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত দেশী ও বিদেশী শক্তিই ১৫ আগষ্টের হত্যাকান্ড এবং ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারাই এসব করেছে। তারা ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে কিন্তু তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তারা ধারনা করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে তাঁর আদর্শ ধ্বংশ হয়ে যাবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য বার বার আক্রমন চালানো হয়েছিল, চক্রান্তকারীরা সফল হয়নি। আল্লাহর অসীম রহমতে তিনি বেচে আছেন। স্বরযন্ত্র শেষ হয়নি, এখনও চলছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (২০ আগষ্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সতীর্থ-স্বজন আয়োজিত “ ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা ঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশের ধারাবাহিকতা” শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশ পরিচালনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের প্রশ্রয় দিয়েছে। দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে, সংসদে আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ রেখে প্রমান করেছেন জিয়াউর রহমান এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানকে তছনছ করে দিয়েছে। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হাওয়া ভবন থেকেই করা হয়েছিল। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ২১আগষ্ট গ্রেনেড হামলার বিচার হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ষোড়স সংশোধনীর রায়ের মধ্যদিয়ে মহান জাতীয় সংসদকে ছোট করা হয়েছে। বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। বাঙ্গালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ৪,৬৮২ দিন জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধু দু’টি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সংগ্রাম করেছিলেন। একটি বাঙ্গালি জাতীর মুক্তি তথা দেশের স্বাধীনতা, অপরটি হলো দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্থাৎ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বাঙ্গালীদের জন্য স্বাধীন দেশে দিয়ে গেছেন, আজ তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি তথা সোনার বাংলা গড়ে তোলার কাজ সফলতার সাথে করে যাচ্ছেন। দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের বিশ্ময় হয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শুভাষ সিংহ রায়। পিযুষ বন্দপধ্যায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার(অব.), সাবেক ছাত্র নেতা বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের(ঢাকা দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় আহত আওয়ামীলীগকর্মী রুমা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: