ঢাকা | মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সিরাজদিখান উপজেলার সাবেক ছাএলীগের পুন:মিলনের প্রস্তুতি সভায় বক্তারা

উপজেলা ছাত্রলীগে শুদ্ধি অভিযান শিগগিরই

ডেক্সবার্তা | প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০১৭ ১৮:২৭

ডেক্সবার্তা
প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০১৭ ১৮:২৭

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নে সবাই সংগঠিত। দলের প্রধান যেভাবে বলবেন সেভাবেই সকল কাজ সম্পূর্ন করা হবে। কেউ এককভাবে বা ফায়দা আদায়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে দলে নিয়ে আসলে সেটি হবে অনাকাংখিত। এজন্য শিগগিরই উপজেলা ছাত্রলীগ থেকে জামাত শিবিরের আড়ালে ছাদ্ম বেশী ছাত্রলীগকে বের করে বিতারিত করতে হবে। শুক্রবার সিরাজদিখান উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগের পুন:মিলনের প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত নেতা কর্মীরা এমন মন্তব্য করেন।

বিক্রমপুর কে বি ডিগ্রী কলেজে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মীর মোশারফ সুমন এর পরিচালনায়, বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, উপজেলা যুবলীগের ও আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সাধারন সম্পাদক নাজমুল আলম খানের সভাপতিত্বে সাবেক ছাত্রলীগের সহস্রাধীক নেতা কর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন সিরাজদীখান উপজেলার যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য সম্পাদক, সিবিএ কেন্দ্রীয় নেতা সামছুল আলম, জেলা যুবলীগ সাবেক সাধারন সম্পাদক ইকবাল মৃধা, ছাএলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এস এম মহসীন ভূইয়া, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসন জনী, সাবেক বিকেবি ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি ও বর্তমান রসুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল চোকদার, ছাএ নেতা গড়ার কারিগর সাবেক ছাএলীগ ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক সুবীর চক্রবর্তী, উপজেলা ছাএলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মনির হোসেন মিলন , কমলকৃসন পাল, সাবেক মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাএলীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য শ্যামল রায়, বিকেবি কলেজের সাবেক সভাপতি দিন ইসলাম হাওলাদার সহ সহস্রাধীক নেতা কর্মী।

সভাপতি বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগকে তার সঠিক কাজটি করতে হবে। এখানে কাউকে ফায়দা লুটতে দেয়া হবে না। যখনই কেউ তার আদর্শ থেকে সরে গিয়ে অন্যায়ে লিপ্ত হবে আমাদের প্রত্যেকের উচিত তাকে প্রথমে সংশোধন না হলে তাকে প্রতিহত করা। আমাদের এখন দুটি কাজ। এক, ছাত্রলীগে জামাত শিবিরের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। দুই, এক্ষেত্রে কাউকে ফায়দা লুটতে দেয়া হবে না।    

বিক্রমপুর কে বি ডিগ্রী কলেজের ছাত্রলীগ মনোনীত জিএস মাহবুবুর রহমান পলাশ তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্রলীগ থেকে মুখোশ পড়া জামাত শিবিরকে বের করতে হবে। এ শুদ্ধি অভিযান সময়ের দাবি। তবে জামাত শিবিরকে দল থেকে বের করার পাশাপাশি আমাদের নিজেদের আরো নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। মাদক নিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা নিজ নিজ দায়িত্বে সংশোধন হতে হবে।

তিনি বলেন, আলোচনায় অনেক বিষয় উঠে এসেছে। অনেকে এখানে তাদের ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন। এ বর্তমান ছাত্রলীগ সাবেকদের কোনো মূল্যায়ন করে না।

বিক্রমপুর কে বি ডিগ্রী কলেজের ছাত্রলীগ গড়ার প্রতিষ্ঠান। এখানে যারা রাজনীতি করেছে তারা প্রত্যেকই সফল। কিন্ত এই কলেজের কমিটি সাবেকদের নিয়ে জাঁকজমক পূর্ণভাবে হয়ে আসছে। এবার কমিটি রাতের অন্ধকারে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে হয়েছে। কেন এমন হয়েছে সেটি অনেকেই প্রশ্ন? এর জবাবে মাহবুবুর রহমান পলাশ বলেন, এ ব্যর্থতার দায়বার আমাদেরই। আমরা  সাবেকরা যদি স্ব উদ্যোগে আমাদের নতুন কর্মীদেরকে সঠিকভাবে দিক নির্দেশনা দিতে পারতাম, তাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতাম তাহলে এমনটি হতো না। কোন অপশক্তি এ সুযোগ নিতে পারতো না। কিছু কুচক্রি মহলের কাজই হলো নিজেদের ঘরের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা। আসুন আমরা সবাই একত্রিত হয়ে (আপনাদের ভাষ্য মতে বর্তমান ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রনহীন) এ কলেজ ছাত্রলীগের সম্মান অক্ষুন্ন রাখি।

 

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: