odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

উপকূলীয় নদীতে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাশ নেই কোনও ইলিশ

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৫ November ২০২৪ ১৬:৪৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৫ November ২০২৪ ১৬:৪৫

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা নদ-নদীগুলোতে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমানে পাঙাশ মাছ। এতে হতাশ হচ্ছে ইলিশ শিকারীরা। গলাচিপার বিভিন্ন গ্রামের ইলিশ শিকারীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।গলাচিপার বোয়ালিয়া গ্রামের ইলিশ জেলে মোঃ কালু নাইয়া গোলখালীর ইলিশ জেলে মো. বজলু প্যাদা জানান, এই অঞ্চলের বাজারগুলোতে সয়লাব ২-১২কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ। চাষকৃত পাঙাশ মাছ কিছুটা কম দামে বিক্রি হলেও নদ-নদীর পাঙাশ মাছ আকারভেদে মাছগুলো ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে'। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা মাছ বাজার ও পানপট্টি লঞ্চঘাট মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ক্রেতারা ইলিশ না পেলেও অতি সহজেই পাঙাশ কিনতে পারছে। জেলের আ. রহিম জানান, এর আগে কখনো গলাচিপার নদ-নদীতে এতো পাঙাশ ধরা পড়েনি। তাদের ধারণা পাঙাশ রাক্ষুসে মাছ হওয়ায় এগুলো হয়তো ইলিশের পোনা খাদ্য হিসেবে গ্রহন করায় ইলিশের উৎপাদন কমে গেছে। 

ক্রেতারা জানান, 'বাজারে পর্যাপ্ত পরিমানে পাঙাশ মাছ ও দাম কিছুটা কম থাকায় ইলিশ কিনতে আসলেও পাঙাশ মাছ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে'।এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী বলেন,'গত দুই বছর যাবৎ উপকূলীয় পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার মৎস্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে ব্যাপক পরিমানে ছোট পাঙাশ ধরার চাই ( মাছ ধরার বিশেষ প্রযুক্তি) জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছি।  একটি চাই এ ১০০-১২০ কেজি ছোট পাঙাম ধরে পড়ে। এগুলো বেশির ভাগ পুড়িয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। যার ফলস্বরূপ পাঙাশ মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে এবং বর্তমানে জেলেদের জাল ও বড়শিতে এখন পড়ছে। প্রতিদিন শুধু গলাচিপাতেই দেড়-দুই মেট্রিকটন বড় আকারের পাঙাশ মাছ আহরণ হচ্ছে'।

মোঃ নাসির উদ্দিন রিপোর্টার,পটুয়াখালীঃ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: