ঢাকা | শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

১৩ বছরের কিশোরী প্রতিষ্ঠিত লেমোনেড কোম্পানি মি অ্যান্ড দ্য বি’স এর সিইও

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০১৮ ০২:১৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০১৮ ০২:১৭

যে বয়সে পড়াশোনা ও খেলাধুলা করার কথা সেই বয়সে ব্যবসায়ী বনে গিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এক কিশোরী। তার নাম মিকাইলা উলমার। বয়স মাত্র ১৩ বছর। সে তার প্রতিষ্ঠিত লেমোনেড কোম্পানি মি অ্যান্ড দ্য বি’স এর সিইও। তার প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনছে লাখ লাখ মানুষ।
 
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ৫০০’র বেশি সুপারশপে বিক্রি হয় মিকাইলার লেমোনেড। ব্যাবসা সামাল দিয়ে স্কুলের পড়াশোনায় ঠিকমতো সময় দিতে পারে না সে। তাই এবছরের পরীক্ষায় গণিতে সে ‘সি’ পেয়েছে। সে নিয়মিত বড় বড় ব্যবসায়িক সম্মেলনে ভাষণ দিয়ে থাকে। সেখানে বড় ব্যবসায়ী হবার উপায় ও কিভাবে নিজে এই পর্যায়ে এসেছে সে ব্যাপারে বক্তব্য রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন উদ্যোক্তা সম্মেলনেও বক্তা হিসেবে সে নিয়মিত মুখ।
 
বিবিসিকে এই কিশোরী বলে, ‘পড়াশোনায় বেশি সময় দিতে পারি না। পত্রিকা সাংবাদিকদের সাক্ষাতকার দিতে হয়, বড় বড় টিভি চ্যানেলে টকশো’র জন্য যেসব আমন্ত্রণ আসে সেগুলো রক্ষা করতে হয়। আর একের পর এক সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার আমন্ত্রণ আসে। কষ্ট হলেও সবগুলো আমন্ত্রণ রক্ষা করতে হয়। ’
 
মিকাইলা জানায়, তার প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর সাড়ে ৩ লাখের বেশি বোতল লেমোনেড বিক্রি করে। তার কোম্পানির পণ্যের জন্য যে মধু প্রয়োজন হয় সেই মধু চাষ সে নিজ হাতেই তদারক করে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও বাজারজাত করনের অংশটিও নিজের দায়িত্বে রেখেছে সে। যুক্তরাষ্ট্রের কনিষ্ঠতম ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম এই কিশোরী আসলে তার ব্যবসা শুরু করেছিল চার বছর বয়স থেকেই। বাবা-মায়ের সহযোগিতায় ২০০৯ সালেই সে তার লেমোনেড উত্পাদন ও বিক্রি শুরু করেছিল। দাদীর কাছ থেকে সে ১৯৪০ এর দশকের   একটা রেসিপি পেয়েছিল। সেই ফর্মুলায় তৈরী পন্য নিজের বাড়ির সামনে একটি টেবিল বসিয়ে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করত। মানুষের আগ্রহ যখন বেড়ে গেল তখন সে মজা পেয়ে উত্পাদন বাড়িয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে কোম্পানি খুলে বসল। এর পরের অংশ কেবল সফলতার গল্প। মুলধন শ থেকে হাজারে, হাজার থেকে লাখ পেরিয়ে এক পর্যায়ে কোটি ছাড়িয়ে গেল।
 
ব্যাবসায়ের অর্থ সে কেবল নিজে খরচ করে না। অন্যান্য ধনকুবেরদের মতো সে বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানেও প্রচুর দান করে। দুঃস্থদের জন্য তার আলাদা তহবিল আছে। আমেরিকার বড় বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার নিয়মিত দেখা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেয়ার অভিজ্ঞতাও তার আছে। -বিবিসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: