ঢাকা | মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দুই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে খালেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২৩:৫২

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২৩:৫২

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে রওনা হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে পৌঁছান। এ আদালতেই জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে।

 

এর মধ‌্যে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন খালেদা। ওই ট্রাস্টের তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে সুবিচার চান তিনি।

পরে খালেদার আবেদনে এ মামলার ৩২তম ও শেষ সাক্ষী হিসেবে মামলাটির প্রথম অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের তখনকার সহকারী পরিচালক নূর উদ্দিন আহমেদকে নতুন করে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর গত ২৬ জানুয়ারি আদালত খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য শোনার জন‌্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন রাখে।

আর জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন নির্ধারিত থাকলেও তার আইনজীবীরা সেদিন মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন করেন, যা নিয়ে দিনভর আইনজীবীদের বিতণ্ডা চলে।

পরে খালেদার আইনজীবীদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার প্রধান আসামি খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির জন‌্য বৃহস্পতিবার দিন রাখেন। পুনঃতদন্তের আবেদন নিয়েও এদিন বিস্তারিত শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলা

জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- বিগত চারদলীয় জোট সরকার আমলে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

এ মামলায় মোট ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে দুদক ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

তার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান গত নয় বছর ধরে দেশের বাইরে, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

এছাড়া সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: