ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কিডনি-সমস্যার লক্ষণ

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:২৯

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:২৯

প্রস্রাবের সময় জ্বালা, ঘন এবং অল্প অল্প প্রস্রাব, প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের ইচ্ছে থাকা, তলপেটে ও কোমরের দুই পারে পেছনে ব্যথা, কখনও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা, প্রস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত, ঘোলা কখনও রক্তমাখা ইত্যাদি প্রস্রাবের প্রদাহের প্রধান লক্ষণ। এই সব লক্ষণ থাকলে বুঝতে হবে শরীরে কিডনির সমস্যা থাকতে পারে। সাধারণ ভাবে দেখা গেছে মেয়েরা সাধারণত যত দিন পর্যন্ত প্রজননক্ষম থাকেন তত দিন তাঁদের কিডনির রোগ পুরুষদের তুলনায় কম হয়। তবে কতগুলো ক্ষেত্রে মেয়েদের কিডনির রোগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন: গর্ভবতী মেয়েদের উচ্চ রক্তচাপ, প্রি-অ্যাকলাম্পশিয়া, অ্যাকলাম্পশিয়া, গর্ভপাত জনিত কিডনি বিকল, প্রস্রাবে প্রদাহ, পূর্ববর্তী কিডনি রোগ সক্রিয় হয়ে উঠা ও অপারেশনজনিত কিডনি বিকলের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। তা ছাড়া নানা কারণে মেয়েদের প্রস্রাবে ইনফেকশন ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি। বাতজনিত রোগ থেকে কিডনিতে আক্রমণ যেমন: সিস্টেমিক লুপাস ইরিথমাতসুস (সিসমেটিক লুপাস ইরিথমাতসুস) মেয়েদের ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় ৯ গুণ বেশি হয়ে থাকে।

গর্ভবতী মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপ থেকে কিডনি বিকলের সম্ভাবনা রয়েছে।

স্বাভাবিক সুস্থ মহিলাদের রক্তচাপ গর্ভবতী অবস্থায় নেমে যায়। বিশেষ করে ডায়াস্টলিক প্রেসার ১০-১৫ এবং সিস্টোলিক ১৫-২৫ মিলি নেমে যায়। কাজেই গর্ভবতী অবস্থায় রক্তচাপ যদি আগের মতো থাকে তবে তাকে উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে গণ্য করতে হবে। বিশেষ করে ডায়াস্টলিক প্রেসার যদি ৯০ মিমি-র উপরে থাকে তবে তা উচ্চ রক্তচাপ হিসাবে চিকিৎসা করতে হবে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। প্রি-অ্যাকলাম্পশিয়া, অ্যাকলাম্পশিয়া, কিডনি সংক্রান্ত উচ্চ রক্তচাপ ও পূর্ব থেকেই থাকা উচ্চ রক্তচাপ। (তথ্য সংগৃহীত)



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: