ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শা’বান কল্যাণ লাভের মাস

Admin 1 | প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ২২:৫২

Admin 1
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ২২:৫২

আরবি হিজরি বর্ষের অষ্টম মাস শা’বান। বরকতময় রজব মাস শেষ হলেই শুরু হয় রমজানের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণের মাস শা’বান। এ মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি। শা’বান মাসের পরেই রহমত বরকত মাগফিরাত ও নাজাতের বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হবে পবিত্র রমজান মাস।

 

এ মাসগুলোর বিষয়ে ইমাম হজরত আবু বকর বালখি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘রজব হলো বীজ রোপনের মাস; শা’বান হলো ওই বীজে সেচ দেয়ার মাস আর রমজান হলো বীজ রোপন ও সেচ দেয়ার পর পরিপূর্ণ ফায়েদা ফসল ওঠানোর মাস।’ তাই রমজানের পরিপূর্ণ ফসল আহরণে রজবের পর শা’বানের গুরুত্ব অপরিসীম।

শা’বান শব্দের অর্থ হলো ছিটিয়ে দেয়া। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা এ মাসের বান্দার প্রতি অগণিত অসংখ্য রহমত ছিটিয়ে দেন। আল্লাহ তাআলার ছিটিয়ে দেয়া রহমত লাভ করে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা আবশ্যক।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ শা’বান মাসে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি ও রোজা পালন করতেন। শা’বান আসলেই বিশ্বনবি এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন-

‘হে আল্লাহ আপনি শা’বান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করে দিন এবং আমাদেরকে রমজান মাসে পৌঁছিয়ে দিন। অর্থাৎ পবিত্র রমজান মাস পর্যন্ত আমাদের হায়াতকে বৃদ্ধি করে দিন।

আবার তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে রমজান মাসে পৌঁছে দিন এবং রমজানের রোজা পালন এবং রাত জেগে ইবাদতের তাওফিক দান করুন।’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে রমজান মাসের মতো অত্যাধিক রোজা পালন করতেন। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শা’বান মাসের চেয়ে অন্য কোনো মাসে এতোবেশি (নফল) রোজা রাখতেন না।’ (বুখারি ও মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার মাস হলো ‘রজব’; আমার মাস হলো ‘শা’বান’ আর আমার উম্মতের মাস হলো ‘পবিত্র রমজান’।

আল্লাহ তাআলা এ মাসে দুনিয়াতে বান্দার জন্য রহমত নাজিল করেন বিধায় শা’বান মাস (মানুষকে) গোনাহ থেকে রক্ষা করে; আর পবিত্র রমজান মাস মানুষকে পূতঃপবিত্র করে তোলে।

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের আগমন ঘোষণাকারী মাস শা’বানে তাঁর রহমত প্রত্যাশায় এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। বিশ্বনবি মাস শা’বানে বেশি বেশি নফল ইবাদত ও রোজা পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: