ঢাকা | বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

আইসিইউতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী জনসন

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২০ ০১:১০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২০ ০১:১০

লন্ডন, ৭ এপ্রিল, ২০২০ : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। এদিকে এ বৈশ্বিক মহামারি ভাইরাসে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা নতুন করে অনেক বেড়ে গেছে। খবর এএফপি’র।
জনসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমেনিক রাবকে জনসনের স্থলাভিষিক্ত করা হলেও তিনি দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন থাকবেন বলে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে। বরিস জনসন হচ্ছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
ওয়েস্টার্ন ইউরোপে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বেড়ে যাওয়ায় সেখানে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে সারা বিশ্বে এ বৈশ্বিক মহামারি ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ হাজার ৬০০ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৩ লাখ ২০ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে।
আটলান্টিকের উভয় পাশের দেশগুলোকে করোনার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার কারণে তারা সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, ১৯৪১ সালে পার্ল হারবারে হামলার ঘটনায় যে ধরণের ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল করোনায় সে ধরণের পরিস্থিতির জন্য আমেরিকার নাগরিকদের প্রস্তুত থাকা উচিত হবে।
ব্রিটেনের ৫৫ বছর বয়সী এ প্রধানমন্ত্রীকে রোববার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ২৭ মার্চ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে এবং তার পর থেকেই তিনি ডাউনিং স্ট্রিট বাসভবনে সেলফ-আইসোলেশনে চলে যান।
ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০ বেড়ে মোট ৫ হাজার ছাড়ানোর দিন বরিস জনসনকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে নেয়া হল।
ডাউনিং স্ট্রিটের বিবৃতিতে বলা হয়, আজ দুপুরের দিকে প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার মেডিকেল টিমের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বরিস জনসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব নেতার সাথে সুর মিলিয়ে বলেছেন, আমেরিকার নাগরিকরা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: