-2020-03-31-09-17-51.jpeg)
সকাল-সন্ধ্যায় পঠনীয় ১২ টি গুরুত্বপুর্ণ দোয়া ও জিকীর!!
___________________
১। সকাল সন্ধ্যায় ৩ বার করে সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস পড়তে হবে-
মু‘আয ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু খুবাইব (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক বর্ষণমুখর খুবই অন্ধকার কালো রাতে আমাদের সালাত পড়ার জন্য আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুঁজছিলাম। আমরা তাঁকে পেয়ে গেলাম। তিনি বললেনঃ বলো। আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি বললেন, বলো। আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেনঃ বলো। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কি বলবো? তিনি বললেনঃ তুমি সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে তিনবার সূরা কুল হুয়াল্লাহু (সূরা ইখলাস), সূরা নাস ও ফালাক পড়বে; এতে তুমি যাবতীয় অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে।(সুনান আবূ দাউদ- ৫০৮২; হাসান)
২। সকালে ১বার পড়তে হবে-
اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُوْرُ
উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মা বিকা আসবাহনা ওয়া বিকা আমসাইনা ওয়া বিকা নাহইয়্যা ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর।
অর্থ- হে আল্লাহ! তোমারই হুকুমে আমাদের সকাল হল এবং তোমারই হুকুমে আমাদের সন্ধ্যা হয়, তোমারই হুকুমে আমরা জীবিত থাকি, তোমারই হুকুমে আমরা মৃত্যু বরণ করব এবং তোমারই দিকে আমাদের পুনর্জীবন।
সন্ধ্যায় ১ বার পড়তে হবে-
اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ
উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মা বিকা আমসাইনা ওয়া বিকা আসবাহনা ওয়া বিকা নাহইয়্যা ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকাল মাসীর।
অর্থ- হে আল্লাহ! তোমারই হুকুমে আমাদের সন্ধ্যা হল এবং তোমারই হুকুমে আমাদের সকাল। তোমারই হুকুমে আমরা জীবিত থাকি, তোমারই হুকুমে আমরা মৃত্যুবরণ করব এবং তোমারই দিকে আমাদের প্রত্যাবর্তনস্থল। (তিরমিযী ৩৩৯১; সহীহ)
৩। সকাল সন্ধ্যায় ১ বার করে পড়তে হবে-
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা আন্তা রাব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা খালাকতানী, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া অ’দিকা মাসতাত্বা’তু, আউযুবিকা মিন শারি মা স্বানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউ বিযামবী ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লায়্যাগফিরুয যুনুবা ইল্লা আন্ত।
অর্থঃ- হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার দাস। আমি তোমার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের উপর যথাসাধ্য প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি যা করেছি, তার মন্দ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার উপর তোমার যে সম্পদ রয়েছে, তা আমি স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও আমি স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমাকে মার্জনা করে দাও, যেহেতু তুমি ছাড়া আর কেউ পাপ মার্জনা করতে পারে না। ক্ষমা প্রার্থনার #এই দুআটি যদি কেউ সন্ধ্যাবেলায় পড়ে ঐ রাতে মারা যায় অথবা সকালবেলায় পড়ে ঐ দিনে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারী ৬৩২৩)
৪। সকাল সন্ধ্যায় ৩ বার করে পড়তে হবে-
উসমান (রাঃ) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যদি কোনো বান্দা সকালে ও সন্ধ্যায় তিন বার করে এই দু’আটি পাঠ করে
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হিল লাযী লা- ইয়াদুর্রু মা‘আ ইসমিহী শাইউন ফিল আরদি ওয়া লা- ফিস সামা-ই, ওয়া হুআস সামীউল আলীম।
অর্থঃ “আল্লাহর নামে (আরম্ভ করছি), যাঁর নামের সাথে জমিনে বা আসমানে কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না।”
তবে ঐ দিনে ও ঐ রাতে কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না।”(তিরমিজী- ৩৩৮৮; হাসান)
৫। সন্ধ্যায় ১বার পড়তে হবে-
আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! গত রাতে একটি বিছু আমাকে দংশন করার কারণে আমি বড় কষ্ট পেয়েছি। তিনি বললেন, যদি তুমি সন্ধ্যায় এ দু’আটি পড়তে
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণঃ-আউযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিনশারি মা খলাক।
অর্থঃ-আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীর অসীলায় তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার মন্দ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
তাহলে সে তোমাকে ক্ষতি করতে পারত না।(মুসলিম- ৬৭৭৩)
৬। সকাল সন্ধ্যায় ১বার করে পড়তে হবে-
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)কখনোই সকাল হলে ও সন্ধ্যা হলে নিচের এই কথাগুলি বলতে ছাড়তেন না (সর্বদা তিনি সকালে ও সন্ধ্যায় এগুলি বলতেন)
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي، اللَّهُمَّ استُرْ عَوْرَاتي، وآمِنْ رَوْعَاتي، اللَّهمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَينِ يَدَيَّ، ومِنْ خَلْفي، وَعن يَميني، وعن شِمالي، ومِن فَوْقِي، وأعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحتي
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আস্আলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়্যাতা ফিদ্ দুন্ইয়া- ওয়াল আ-খিরাহ। আল্লাহুম্মা, ইন্নী আস্আলুকাল ‘আফ্ওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়্যাতা ফী দীনী ওয়া দুন্ইয়াই-য়া, ওয়া আহলী ওয়া মালী। আল্লা-হুম্মাস- তুর ‘আউরা-তী ওয়া আ-মিন রাউ‘আ-তী। আল্লা-হুম্মাহ্ ফাযনী মিম বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খালফী, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া ‘আন শিমালী, ওয়া মিন ফাউক্বী। ওয়া আ‘ঊযু বি‘আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহতী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ইহকালে ও পরকালে নিরাপত্তা চাচ্ছি। হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার ধর্ম ও পার্থিব জীবনে এবং পরিবার ও সম্পদে ক্ষমা ও নিরাপত্তা ভিক্ষা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার লজ্জাকর বিষয়সমূহ গোপন করে নাও এবং আমার ভীতিতে নিরাপত্তা দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার সম্মুখ ও পশ্চাৎ, ডান ও বাম এবং উপর থেকে রক্ষণাবেক্ষণ কর। আর আমি তোমার মাহাত্মের অসীলায় আমার নিচে ভূমি ধসা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (মুসনাদ আহমাদ ২/২৫, সুনানু ইবনি মাজাহ ২/১২৭৩, মুসতাদরাক হাকিম ১/৬৯৮, মাওয়ারিদুয যামআন ৭/৩৮১-৩৮৩, সহীহুত তারগীব ১/৩৪৩)
৭। সকাল সন্ধ্যায় ১বার করে পড়তে হবে-
আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ফাতেমা (রাঃ)-কে বলেন, “আমি তোমাকে যে ওসীয়ত করছি তা গ্রহণ করতে তোমার অসুবিধা কি? আমি ওসীয়ত করছি যে, তুমি সকালে ও সন্ধ্যায় এই কথা বলবে-
يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغيثُ أَصْلِحْ لِي شَأْنِيَ كُلَّهُ وَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ
উচ্চারণ : ইয়া- হাইয়ু ইয়া কাইঊম, বিরাহমাতিকা আসতাগীস, আসলিহ লী শা‘নী কুল্লাহ, ওয়া লা- তাকিলনী ইলা- নাফসী তরফাতা ‘আইন।
অর্থঃ “হে চিরঞ্জীব, হে মহারক্ষক ও অমুখাপেক্ষী তত্ত্বাবধায়ক, আপনার রহমতের ওসীলা দিয়ে ত্রাণ প্রর্থনা করছি। আপনি আমার সকল বিষয়কে সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত করুন। আর আমাকে একটি মুহূর্তের জন্যও, চোখের পলকের জন্যও আমার নিজের দায়িত্বে ছেড়ে দিবেন না (সর্বদা আপনার তত্ত্বাবধানে আমাকে রাখুন)।”( মুসতাদরাক হাকিম ১/৭৩০, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১১৭, সহীহুত তারগীব ১/৩৪৫।)
৮। সকালে এবং বিকেলে ১০০ বার করে পড়তে হবে-
আমর বিন শুয়াইব, তিনি তার পিতা হতে এবং তার পিতা তার (আমরের) পিতামহ হতে এবং তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সূর্যের উদয় ও অস্তের পূর্বে (অর্থাৎ সকালে সূর্য ওঠার আগে এবং বিকালে সূর্য ডোবার আগে) ১০০ বার বলবে- سُبْحَانَ اللَّهِ (সুবহানাল্লা-হ) “আল্লাহ পবিত্র-
তার জন্য তা ১০০টি (মক্কায় কুরবানীযোগ্য) উষ্ট্রী অপেক্ষা অধিক শ্রেষ্ঠ। যে ব্যক্তি সূর্যের উদয় ও অস্তের পূর্বে ১০০ বার বলবে- لْحَمْدُ لِلَّهِ، (আলহামদু লিল্লাহ) “সকল প্রশংসা আল্লাহরই” তা আল্লাহর পথে (জিহাদের) জন্য সওয়ারী ১০০টি ঘোড়া অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। যে ব্যক্তি সূর্যের উদয় ও অস্তের পূর্বে ১০০ বার বলবে اللَّهُ أَكْبَر(আল্লা-হু আকবার) “আল্লাহ সবচেয়ে বড়” তার জন্য তা ১০০টি ক্রীতদাস স্বাধীন করা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। আর যে ব্যক্তি সূর্যের উদয় ও অস্তের পূর্বে ১০০ বার বলবে -
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বদীর।
“আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।”
সে ব্যক্তির চেয়ে শ্রেষ্ঠ আমল নিয়ে কিয়ামতে আর অন্য কেউ উপস্থিত হতে পারবে না। অবশ্য যদি কেউ তারই অনুরূপ অথবা তার চেয়ে অধিকবার ঐ যিকির বলে থাকে তবে সে পারবে”।(নাসাঈ সুনানে কুবরা- ১০৬৫৭, হাদিস সহীহ)
৯। সকাল সন্ধ্যায় ১০০ বার করে পড়তে হবে-
আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক সকালে ও সন্ধ্যায়
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِه "সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হামদিহী", অর্থাৎ- আল্লাহ পবিত্র ও সমস্ত প্রশংসা তারই একশবার পড়ে আখিরাতের দিবসে তার তুলনায় উত্তম আমাল নিয়ে কেউ আসবে না। তবে সে ব্যক্তি ব্যতীত, যে লোক তার সমান আমাল করে অথবা তার তুলনায় বেশি আমাল করে।(মুসলিম- ৬৭৩৬)
১০। সকাল সন্ধ্যায় ১০০ বার করে পড়তে হবে-
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে ১০০ বার এবং সন্ধ্যায় ১০০ বার বলবে- سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ সুব্হানাল্লা-হিল ‘আযীম ওয়াবিহামদিহী
“মহান আল্লাহর প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি” তাহলে তাকে এমন মর্যাদা দেওয়া হবে, যে মর্যাদা সৃষ্টিকুলের মধ্যে আর কোন ব্যক্তিকে দেওয়া হবে না”।(আবূ দাউদ- ৫০৯১; সহীহ)
১১- উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্বিন থেকে হেফাযতে থাকবে এবং যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তা পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত জ্বিন থেকে হেফাযতে থাকবে।(তাবারানী, আল-মু’জামুল কাবীর ১/২০১, মুসতাদরাক হাকিম ১/৭৪৯, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১১৭, সহীহুত তারগীব ১/৩৪৫। হাদীসটি সহীহ।
পৃথকভাবে সকাল সন্ধ্যায় এটা পড়ার প্রয়োজন নেই। ফজরের সালাতের পরে এবং মাগরিবের সলাতের পরে একবার পাঠ করলেই যাকির সকালে পাঠের ফযীলত ও সালাতের পরে পাঠের ফযীলত, উভয় প্রকার ফযীলত লাভ করবেন ইনশা আল্লাহ।
১২। সকালে ৩ বার পড়তে হবে-
উম্মুল মুমিনীন জুআইরিয়্যার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ফজরের সালাতের পরে তাঁকে তাঁর সালাতের স্থানে যিকর রত অবস্থায় দেখে বেরিয়ে যান। এরপর তিনি অনেক বেলা হলে দুপুরের আগে ফিরে এসে দেখেন তিনি তখনও ঐ অবস্থায় তাসবিহ তাহলীলে রত রয়েছেন। তিনি বলেন, “তুমি কি আমার যাওয়ার সময় থেকে এই পর্যন্ত এভাবেই যিকরে রত রয়েছ?” তিনি বললেন: “হ্যাঁ।” তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেনঃ “আমি তোমার কাছ থেকে বেরিয়ে চারটি বাক্য তিন বার করে বলেছি
سبحان الله وبحمده ، عدد خلقه ، ورضا نفسه ، وزنة عرشه ، ومداد كلماته
উচ্চারণঃ সুব‘হা-নাল্লা-হি ওয়াবি‘হামদিহী, ‘আদাদা খালক্বিহী, ওয়ারিদ্বা-নাফসীহী, ওয়া যিনাতা ‘আরশিহী ওয়া মিদা-দা কালিমাতিহ
অর্থ: “পবিত্রতা আল্লাহর এবং প্রশংসা তাঁরই, তাঁর সৃষ্টির সম সংখ্যক, তার নিজের সন্তুষ্টি পরিমাণে, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণে এবং তাঁর বাক্যের কালির সমপরিমাণ।”
তুমি সকাল থেকে এই পর্যন্ত যত কিছু বলেছ সবকিছু একত্রে যে সাওয়াব হবে, এই বাক্যগুলির সাওয়াব সেই একই পরিমাণ হবে।”(মুসলিম- ৬৮০৬)
সকাল সন্ধ্যায় পঠনীয় আরও অনেক দোয়া জিকীর রয়েছে, আমরা গুরুত্বপুর্ণ কিছু উল্লেখ করলাম মাত্র, আশা করি এগুলো প্রতিনিয়ত পাঠের মাধ্যমে আমরা যে কোন ধরনের বালা মুসিবত থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকতে পারবো ইন শা আল্লাহ্।
সংকলনঃ Nayon Ahmed
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: