ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

মুন্সীগঞ্জে নতুন করে ৪৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত।

ahsanul islam | প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২০ ০৪:০৬

ahsanul islam
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২০ ০৪:০৬

মুন্সীগঞ্জে নতুন করে ৪৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত।

মোঃআহসানুল ইসলাম আমিন,মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জে নতুন করে ৪৪ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে,এই নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭০৩ জনে।

৩০মে শনিবার বিকাল ৫টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ। সিভিল সার্জন জানান, গত ২৮ ও ২৯ মে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) পাঠানো নমুনার মধ্যে ১৮৪ জনের ফল এসেছে। সেখানে ৪৪ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানানো হয়।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৯ জন,সিরাজদিখান উপজেলায় ১জন,লৌহজং উপজেলায় ১জন ও শ্রীনগর উপজেলায় ৩জন রয়েছেন।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানাযায়,শনিবার ৩২ জনসহ জেলার মোট ৪ হাজার ১৫৩ জনের নমুনা এ পর্যন্ত পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৮৯৩ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৩৫০ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৪৩ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৯৯ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৬৫ জন, লৌহজং উপজেলায় ৬৮ জন এবং গজারিয়া উপজেলায় ৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সদরে একজন স্বাস্থকর্মীসহ ১৩ জন, টংগিবাড়ীতে তিনজন ও শ্রীনগর উপজেলায় একজন ও লৌহজং উপজেলায় দুইজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
এদিকে, নতুন করে গজারিয়া উপজেলায় তিনজন, সদর উপজেলায় একজন ও শ্রীনগর উপজেলায় একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ নিয়ে জেলায় ১৯৮ জন করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭২ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৪৬ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৩৯ জন, টংগিবাড়ী উপজেলায় ১৬ জন, লৌহজং উপজেলা ১০ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ১৫ জন রয়েছেন।

সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ বলেন,পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে । তাই ব্যক্তি উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব । জেলার সর্বত্রই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে এসময় মাস্ক ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না । সকল ধরনের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে । এছাড়া মুন্সীগঞ্জের পাশ্ববর্তী জেলা ঢাকা ও নারায়াণগঞ্জ হওয়ার কারণে দ্রুত এই জেলায় করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে চলছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনও দ্রুত আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। আশার কথা হচ্ছে যারা পূর্বে আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। বাকিদেরও অবস্থা ভালো আছে। এদিকে জেলায় মৃত্যুও হার কম রয়েছে,মৃত ব্যক্তিদের সবাই বয়স্ক। সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে সংক্রমিত হবার সংখ্যাও কমে আসবে দ্রুত।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: