
বর্তমানে মশা বহিত একটা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে মানুষের ভিতরে একধরনের বিষন্নতা একাকীত্বের ভেতর জীবন চলে,,,,,,,,,
চিকুনগুনিয়া হলে, বিশ্রাম, প্রচুর পরিমাণে তরল পান এবং ব্যথানাশক ও জ্বরের ওষুধ সেবন করা উচিত। এছাড়াও, মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ কমাতে এবং উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘরোয়া প্রতিকারও সহায়ক হতে পারে।
চিকুনগুনিয়া হলে করণীয়:
বিশ্রাম:
চিকুনগুনিয়া হলে শরীরের বিশ্রাম প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে শরীর দ্রুত সেরে উঠবে।
পর্যাপ্ত তরল পান:
চিকুনগুনিয়ার কারণে জ্বর এবং বমি হতে পারে, তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর পরিমাণে জল, ফলের রস, এবং ওরাল স্যালাইন পান করা উচিত।
ওষুধ সেবন:
চিকুনগুনিয়ার জ্বর এবং ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল (Acetaminophen) জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। বিশেষ করে ডেঙ্গু প্রবণ এলাকায়, ডেঙ্গু থেকে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি কমাতে, চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রেও প্যারাসিটামলকে প্রথম সারির চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মশার কামড় থেকে বাঁচা:
চিকুনগুনিয়া মশা দ্বারা ছড়ায়, তাই মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা জরুরি। মশার বিস্তার কমাতে মশা তাড়ানোর স্প্রে ব্যবহার করুন, ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন এবং দিনের বেলায় লম্বা হাতার জামাকাপড় পরুন।
ডোকা বা ভাপ নেওয়া:
জয়েন্টের ব্যথা কমাতে গরম জলের সেঁক বা ভাপ নেওয়া উপকারী হতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ:
চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং পরামর্শ দেবেন।
কিছু ঘরোয়া প্রতিকার যা চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ কমাতে সহায়ক হতে পারে:
আদা চা:
আদা প্রদাহ-বিরোধী এবং রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। আদা চা পান করলে শরীরের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ দুধ (Golden Milk):
হলুদে কারকিউমিন থাকে, যা প্রদাহ-বিরোধী এবং রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। হলুদ দুধ পান করলে শরীরের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
তুলসী পাতা:
তুলসী পাতা রোগ প্রতিরোধক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত। তুলসী পাতা সেদ্ধ করে বা এর জল পান করলে শরীরের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
মেথি বীজ:
মেথি বীজ প্রদাহ-বিরোধী এবং ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। মেথি বীজ জলে ভিজিয়ে সেই জল পান করলে শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
ইপসম সল্ট বাথ:
ইপসম সল্টে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট থাকে, যা পেশী শিথিল করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। গরম জলে ইপসম সল্ট মিশিয়ে স্নান করলে শরীরের ব্যথা উপশম হতে পারে।
ডাবের জল:
ডাবের জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এবং এতে উপস্থিত ইলেক্ট্রোলাইটগুলো শরীরের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: