ঢাকা | মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামী - স্ত্রীর সম্পর্ক

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২০ ২৩:৪৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২০ ২৩:৪৯

 

একজন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক শুরু হয় বিয়ের পর থেকে বাকী সারা-জীবন । এই লিখন বিধাতা আগেই লিখে রাখে। ঠিক সময় মতো চার হাত এক হয়ে-যায়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে থাকা দরকার বিশ্বাস। কারন বিশ্বাস জিনিসটা জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেটা অর্জন করা কঠিন, কিন্তু ভাঙ্গা খুব সহজ। আত্মবিশ্বাস ছাড়া কোনো সম্পর্ক পরিপূর্ণতা পায় না। কারন বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে সব ঠিকঠাক থাকলেও মনে ঐ খটকাই থেকে যায়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে থাকা দরকার সমান শ্রদ্ধা-সম্মান, কেউ কাউকে ছোট করে দেখবে না, কারন যে সবাইকে সম্মান করে কাউকে তুচ্ছ করে না সে আল্লাহর কাছেও প্রিয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এমন হতে নেই যেখানে থাকবে একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস-সন্দেহ। কারন সন্দেহ একটা সম্পর্ক মূহুর্তেই শেষ করে দেয়। সন্দেহ ধ্বংস করে দেয় এক একটা জীবন। সম্পর্ক গুলো এমন হওয়া উচিত যাতে কোনো সন্দেহ না থাকে। স্বামী-স্ত্রীর প্রত্যেক টা কাজ হওয়া দরকার প্রকাশ্য, দু'জনের জানা, যাতে কারো প্রতি কারো অভিযোগ না থাকে  । স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এমন হওয়া উচিত নয় যাতে একে অপরের কাজে বিরক্তবোধ করে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এমন হওয়া উচিত যেখানে প্রত্যকটা কাজেই দু'জনের উৎসাহ থাকবে। সম্পর্ক টা এমন হওয়া দরকার যেখানে উভয়-উভয়ের প্রতি লজ্জিত থাকবে, একে-অপরের প্রতি ভয় থাকবে। যে সম্পর্কে শুধু চাহিদা কাজ করে ঐ সম্পর্ক কখনো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক না,  স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে কোনো স্বার্থ থাকবে না। থাকবে অবিরাম ভালোবাস,  সুখে দুঃখে সঙ্গী হওয়া, ভালো সময় খারাপ সময় সব কিছু এক হয়ে মোকাবিলা করা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মানে এই নয় দুঃসময়ে ছেড়ে চলে যাওয়া বরং সম্পর্ক এটাই সব পরিস্থিতিতে ভরসা হয়ে পাশে থাকা। একে অপরের মন খারাপে মন ভালো করা একজন রেগে গেলে আরেকজন চুপ থাকা। হ্যা এটাই স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক। দু'জন  দু'জনের জন্য হবে সাপোর্ট,  একে-অপরকে নামাজের জন্য তাগিদ দিবে, আল্লাহর রাস্তায় চলার উৎসাহ দিবে, গভীর রাতে তাহাজ্জুদের জন্য জাগিয়ে তুলবে। একজন স্ত্রীর কর্তব্য এমন হওয়া দরকার যে স্বামী কে উপার্জনের জন্য উৎসাহিত করা। কাজের প্রতি আগ্রহ বারানো। স্বামীর এমন হওয়া দরকার যাতে সে স্ত্রীর অ-গোচরে ভূল নয় সঠিক কাজ করে নিজেকে হাজির করে, স্ত্রী ও এমনি হোক যাতে স্বামীর অ-গোচরে ভূল নয় সঠিক টাই করে। একজন স্বামী নেশা করে নয় কাজ করে ঘরে ফিরবে। আর স্ত্রী-স্বামীর অপেক্ষায় বসে থাকবে, মনে মনে ইসতেগফার করবে আল্লাহ যেন তাকে আবার সুন্দর ভাবে সুস্হ ভাবে ঘরে ফিরিয়ে আনে। হুম এমনি সম্পর্কের মাঝে থাকুক যেখানে কোনো গোপনীয়তা না থাকে। স্বামীর অন্যায় কাজে স্ত্রীকে গোপনে কাঁদতে হয়। কারন মেয়েরা মা জাতি সব ছেড়ে অন্যর ঘরে যায় তাই তারাই কষ্ট পায় বেশি। পৃথিবীতে হয়তো এমন স্ত্রী এখনো আছে ভয় ভীতিতে সব অন্যায় দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। স্ত্রীরা অনেক কিছু ত্যাগ করে তাই একজন স্বামীকে সেটা বুঝতে হবে। হয়তো সম্পর্ক গুলো এমনি হওয়া দরকার ছিল।ভালোবাসাই সব সুখ, একজন স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসাই গড়ে উঠে এক একটা সুন্দর সম্পর্ক। সারাজীবন এক সাথে বেচেঁ থাকতে সাহায্য করে ভালোবাসা আর ভরসা। জীবন সঙ্গী পাওয়া সহজ কিন্তু আগলে রাখা কঠিন। একটা সুন্দর মন এই একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়িয়ে তোলে। সম্পর্কের মাঝে ভূল বুঝা- বুঝি হলেও শোধরানো টাই আসল। একজন স্বামীর কাছে স্ত্রী হতে হবে প্রিয়, স্ত্রীর কাছে স্বামী হতে হবে প্রিয়। তবেই সম্পর্ক মধুর হবে, ভালোবাসা গভীর হবে।অবহেলা জিনিস টি খুবই কষ্ট দায়ক, সম্পর্কে অবহেলা না আসলে তবেই সম্পর্কের সৌন্দর্য্য ফুটে উঠবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একে অপরকে খুশী রাখা,  খোঁজ রাখা কেউ কোনো কিছুতে কষ্ট পেয়েছে কি না।কষ্ট পাওয়ার মতো কিছু না করা কারন সবাই সব কিছু প্রকাশ করে না, ভালোবাসার এই পবিত্র বন্ধন পবিত্র করে রাখাই স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব। একে অপরের প্রত্যক টা দায়িত্ব সমান ভাবে পালন করা। যদি দুজন দু'জনকে খুশী রাখে সম্পর্ক ও উজ্জীবিত হবে আল্লাহ ও খুশী থাকবে। সম্পর্কে এমন কিছু না থাকাই ভালো যার কারনে ওয়াদা ভঙ্গ হয় প্রতুশ্রুতি নষ্ট হয়। ভালোবাসার মায়ার চাদরে আগলে রাখুক একে অপরকে আজীবন,, সুখে দুঃখের সঙ্গী হয়ে একে অপরের পাশে জীবনের প্রতিটা অধ্যায়ে,, 

এটাই হয়তো একটা সুন্দর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক    ????????????         

লেখা : তানজিলা মাহবুব                                                                                                                                                               

                                                              

    



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: