* চতুর্থ দিনে গল টেস্টের পরিস্থিতি
জয়াসুরিয়া: আমরা তাদের (বাংলাদেশ) ৩১২ রানে অলআউট করেছি। দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো শুরু হয়েছে আমাদের, স্কোরবোর্ডে রানটাকে বেশ বড়সড়ই লাগছে। আরও কিছু রান করতে পারলে প্রতিপক্ষকে বেশ চাপে ফেলা যাবে। বাংলাদেশ ভালো শুরু করেও সেটি ধরে রাখতে পারেনি। টেস্টে হয় কী শুরুটা ভালো হলে সেটি আপনাকে ধরে রাখতে হবে। দরকার ছিল কারও একটা বড় সেঞ্চুরি। তিনজন পঞ্চাশ পেরিয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেনি।
* বাংলাদেশের ক্রিকেট এবং ১০০তম টেস্ট
জয়াসুরিয়া: এ মুহূর্তে বাংলাদেশ দলটিকে খুবই ভালো বলতে হবে, অনেক দিন ধরেই তারা একসঙ্গে খেলছে। তারা সত্যিই উন্নতি করছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তৃণমূলে দারুণ কাজ করছে, পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটিয়েছে, এ জন্যই ক্রিকেটটা ভালো করছে।
* শ্রীলঙ্কার পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে
জয়াসুরিয়া: নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা তো বেঁধে দেওয়া যায় না। সময় ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে এ দলটিও আমরা যেমন ছিলাম সে রকম হতে পারে। তবে কেমন সুযোগ তারা পায় এবং কত সময় দলে থাকে সেটির ওপর তা নির্ভর করবে। এরপর তাদের পারফরম্যান্সেই সব দেখা যাবে।
* কুশল মেন্ডিস এবং সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের শূন্যতা পূরণ
জয়াসুরিয়া: সে লম্বা ইনিংসের ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকায় তার কঠিন সময় গেছে। কয়েকটি ফিফটি পেয়েও সেঞ্চুরি করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত সিরিজে সে বড় একটি সেঞ্চুরি করেছে, শ্রীলঙ্কা তাই সিরিজটা জিততে পেরেছে ৩-০ ব্যবধানে। এখানেও সুযোগ পেয়ে ১৯৪ রানের ইনিংস খেলেছে। তবে এখনই বলা যাবে না সাঙ্গাকারা বা জয়াবর্ধনের শূন্যতা সে ঢাকতে পারবে কি না। রাতারাতি এই শূন্যতা পূরণ করা যায় না। আমরা তো এখনো অরবিন্দ ডি সিলভার বিকল্প পাইনি। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এদের সুযোগ দিতে হবে, তারপরই হয়তো একদিন এদের নিয়ে কথা বলতে পারব।
* টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রমরমা অবস্থা
জয়াসুরিয়া: এটাও ক্রিকেটের আরেকটি সংস্করণ, যা আপনি গুরুত্ব না দিয়ে আর পারেন না। সবাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট পছন্দ করে, আমিও এটির ভক্ত। তবে আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেটটাই সবকিছুর আগে, চিরদিন তা-ই থাকবে। আমি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতাম, তবে আমি টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সব ধরনের ক্রিকেটেই স্বচ্ছন্দ ছিলাম।
* ঢাকায় খেলার স্মৃতি
জয়াসুরিয়া: ঢাকায় আমি মোহামেডানে খেলেছি। ওখানে খেলাটা উপভোগ করেছি। ক্লাবে দারুণ সমাদর পেয়েছি। মাহবুব (আনাম) খুব করেছেন আমার জন্য।
* বর্তমান দায়িত্ব নিয়ে
জয়াসুরিয়া: বেশ ভালোই লাগছে। একটা নতুন দল নিয়ে কাজ করছি। কাজ করছি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য। আমাদের বেশ কিছু তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, তবে তাদের উঠে আসার জন্য সুযোগ দিতে হবে। এ মুহূর্তে দলটি হয়তো ভালো করছে, তবে গত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি ছিলাম বেশ অসুখী মানুষ।
* ক্রিকেটে তাঁর লম্বা সময়
জয়াসুরিয়া: আমার সময়টা সব মিলিয়ে ভালোই গেছে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে আমি যা করেছি, তা নিয়ে আমি ভীষণ খুশি। আবারও সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে ভালো লাগছে। আমি সব সময় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কাজ করি এবং করে যেতে চাই। ২০ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারেও তাই করেছি।
* বিশ্বকাপ ব্যর্থতা
জয়াসুরিয়া: আমরা বিশ্বকাপ জয়ের পর আরও দুবার ফাইনালে উঠেছি, একবার সেমিফাইনালে খেলেছি। আমরা মনে হয় ঠিক পথেই আছি। তরুণ প্রতিভা খুঁজে আনতে আমাদের প্রাদেশিক ক্রিকেট এবং বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের ওপর জোর দিয়েছি। আমাদের আরেকটি বিশ্বকাপ জিততে হবে। তবে আমরা মনে হয় ঠিক পথেই চলেছি।
* রাজনীতি
জয়াসুরিয়া: রাজনীতি নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। আমি এখন ক্রিকেট নিয়েই আছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: