ঢাকা | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় কল্যাণ সমিতির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা

gazi anwar | প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৪১

gazi anwar
প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় কল্যাণ সমিতি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমাজসেবা রেজিঃ নং-ঢ-৯৬৯৪। এই সংগঠনতন্ত্রের নীতিমালা অনুযায়ী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও বাস্তব চিত্র পুরোটাই উল্টো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, সমিতির যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে তা একটি আবাসিক ফ্যাট বাড়ি, সমিতির নেই কোন সাইনবোর্ড, নেই কোন অফিস রুম, নেইকোন চেয়ার-টেবিল।
সংগঠনটির সভাপতি নরেশ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম প্রতিবন্ধী স্কুলের স্বীকৃতি, এমপিও শিক্ষক নিয়োগ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্কুলের ভুয়া পরিদর্শনের চিঠির মাধ্যমে এমপি মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর ডিও স্বার জাল করে এমপি মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে বৃদ্ধা অঙ্গুল দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা এই চক্রটি।
এরা মূলত ফেসবুক অনলাইন ভিত্তিক এমপি, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবদেরকে টার্গেট করে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় কল্যান সমিতির নামে ক্রেস্ট ছবি ও এসএমএস দিয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে প্রচার-প্রচারোনা চালিয়ে বিভিন্ন স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিকে ফাঁদে ফেলতো এই চক্রটি। এই ফাঁদে অনেকেই সর্বত্র হাড়িয়ে অনেকেই পথে বসতে চলেছে।
এ চক্রটি সমিতির ঢাকা জেলার কর্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি থাকলেও সমাজসেবার আইন-কানুনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে সারা বাংলাদেশে সমিতির কমিটির নামে চাঁদা নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।

এখানেই ক্ষ্যান্ত হয়নি অসাধু চক্রটি এ সংগঠনটির সভাপতি নরেশ চন্দ্র দাস কয়েকটি স্কুল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ কামারপাড়া এনসি সংস্কৃত কলেজ, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় কল্যান সমিতি, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি উদয়ন প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ও সেবা সংসস্থা, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি উদয়ন ব্যবসায়িক সমবায় সমিতি লিঃ, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কিরন যতীণ বিশেষ শিক্ষা বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাতা উত্তর হাট বমুনী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক নিয়োগ ও সমবায় সমিতির নামে অবৈধ মাইক্রো ক্রেডিট বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা অসাধু চক্রটি।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামও দুটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক। একটি তার নিজের নামে নজরুল ইসলাম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়। আরেকটি তার বাবার নামে ইয়াকুব আলী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। এই স্কুলগুলোর শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। তারা এখন ঢাকায় উচ্চ বিলাশী জীবন-যাপন করছে।
যশোরের ঝিকরগাঝা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক এবং পৃনবাসন কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমিরুল কবির অভিযোগ করে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের এমপিও অনুমোদনের কথা বলে মোটা অংকের টাকা নেয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় কল্যাণ সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। টাকা নেয়ার প্রায় এক বছর হলেও এখন পর্যন্ত এমপিও হয়নি।
এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব (বাজেট ও ব্যাবস্থাপনা) সুলতানা সাঈদা বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ্যে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: