ঢাকা | মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
মানা হচ্ছেনা নিয়োগবিধি

পদোন্নতি নিয়ে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চরম অসন্তোষ

gazi anwar | প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:১৬

gazi anwar
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষক থেকে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতিতে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। শিক্ষকেরা বিধি মোতাবেক পদোন্নতি দাবি করে আসছে দীর্ঘ দিন যাবত। তবে নীতিমালা থাকতেও অনুসরণ না করায় পদোন্নতিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এতে নিয়োগ শর্ত পালনকারী সাধারণ শিক্ষকেরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগের শর্ত হলো নিয়োগের পাঁচ বছরের মধ্যে বিএড ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। অনেকে টিউশনি ও ব্যক্তিগত কারণে এই শর্তটি ঠিক সময়ে অর্জন না করায় বর্তমান পদোন্নতিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

পক্ষান্তরে শর্ত পূরণকরা শিক্ষকেরা দাবি করছেন শর্ত ভঙ্গকারীদের পদোন্নতি সর্বশেষ শিক্ষকের পরে দেয়ার জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। এই সিদ্ধান্তকে তারা মেনে নিবে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-১৯৯১ ও কর্মচারী ও কর্মকর্তা(সহকারী শিক্ষক)নিয়োগ বিধিমালা ২০১৮ (সংশোধিত ১৯৯১) এর অধীন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পাঁচ বছরের মধ্যে বিএড ডিগ্রি অর্জন করার শর্ত রয়েছে।

গত১০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খানের সভাপতিত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট পদোন্নতি কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সুপারিশ গোপন রাখায় শিক্ষকেরা নানা সংশয়ে রয়েছে। সভার কার্যবিধির (খ)ধারার (অ)উপ অনুচ্ছেদে নিয়োগ বিধির শর্ত পূরণ সাপেক্ষে পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের পাঁচ বছরের মধ্যে বিএড ডিগ্রি অর্জনের শর্ত পালনকে মাপকাঠি নির্ধারণ করতে হবে। তবে শিক্ষকেরা আশংকা করছে- সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ শর্ত পালন সাপেক্ষে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির নির্দেশনা মানা হয়নি।

তাদের মতে, ডিপিসি সভার পূর্বে উপপরিচালক(মাউশি) মোঃ আজিজ উদ্দিন ও পরিচালক(মাউশি) মোঃ বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে দেয়া বিধি বহির্ভূত বক্তব্য বাস্তবায়ন করতে সফল হয়েছে।

মাঠপর্যায়ের শিক্ষকরা জানায়, গভঃ ল্যাব হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ ভূইয়া ও আরো কয়েকজন শিক্ষকের উদ্যোগে শর্ত অমান্যকারীদের পদোন্নতি করিয়ে দেয়ার নামে ব্যাপক চাঁদাবাজি হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাউশি ও মন্ত্রণালয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। দাবি করা হচ্ছে, প্রশাসনের কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্বকে পাশ কাটিয়ে অনৈতিক পথ বেছে নিয়েছে।

মুজিববর্ষে সরকারের পক্ষ থেকে এই বিভাগে ধারাবাহিক পদোন্নতির প্রক্রিয়া চলছে। নীতিকে পাশ কাটিয়ে অনৈতিক ভাবে যোগ্যদের বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রের কারণে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির উদ্যোগটি প্রকৃত উদ্দেশ্য হতে ভিন্ন খাতে যেতে পারে বলে সাধারণ শিক্ষকদের আশংকা রয়েছে। তারা নিশ্চিত করে এই সিন্ডিকেট অতীতের ন্যায় শর্ত মান্যকারী শিক্ষকদের আবারো বঞ্চিত করতে সব কূল গুছিয়ে রেখেছে।

উল্লেখ্য, এই সেক্টরে দীর্ঘদিন চাকুরি করেও শত শত শিক্ষককে পদোন্নতি না পেয়ে অবসরে যেতে হয়। বর্তমানে সকলের একটি চাওয়া স্বচ্ছতার মাধ্যমে যোগ্যদের পদোন্নতি নিশ্চিত করা হোক।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: