
মোঃ আহসানুল ইসলাম আমিন,মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বালু দিয়ে ভড়াট কারা হচ্ছে তিন ফসলি জমি,পুকুর,জলাশয়,অন্যদিকে রাস্তার উপর পাইপ রাখায় চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে উঠেছে রাস্তা ।
উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের নিমতলা থেকে চিত্রকোট ইউনিয়নের খালপাড় পর্যন্ত ৫কি.মি. প্রধাণ সড়কের ওপর ৯টি স্থানে বালি উত্তোলনের পাইপ রেখে তার উপর মাটি ইটের ভাঙ্গা দিয়ে উঁচু করেছেন ড্রেজার ব্যবসায়ীরা।
কোন ধরনর সরকারী অনুমতি ছাড়াই সরকারী রস্তার বিশাল অংশ দখর করে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই অবাধেই চলছে অবৈধ ড্রেজার ব্যাবসা।
এতে রাস্তা খানাখন্দে পরিণত হয়েছে,এছারাও ড্রেজার পাইপ রাখার কারণে রাস্তা দিয়ে যাত্রী নিয়ে প্রায় রিকশা ও ইজি বাইক সহ বিভিন্ন ধরনের ভারী যান চলাচলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ও প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
অনেক ইজি বাইক চালক যাত্রী নিয়ে অতিকষ্টে যাতায়াত করছে এই রাস্তায়।
এছাড়া খাল দিয়ে বালুবাহি বাল্কহেড চলাচলের ফলে খালের পাশের বাড়ির পার ভেঙ্গে যাচ্ছে এ ব্যাপারে জরুরিভাবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী রিকশা চালক আবুল কালাম বলেন,রাস্তার উপর পাইপ রাখায় আমাদের গাড়ি চালাইতে খুব কষ্ট হয়,মাঝে মাঝেই রিকশার ফ্রক ভেঙ্গে যায়।
প্রায় রাতেই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের খালপার থেকে নিমতলা ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তার উপরে ৮-১০টি পাইপ আমরা খুব বিপদে আছি। রাস্তার উপর থেকে পাইপ গুলো সরালে আমরা একটু সান্তিতে গাড়ি চালাইতে পারব আর পাবলিকের গালি থেকেও রক্ষা পাব।
এব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান,আমি নতুন এসেছি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম, দ্রুতই এই ড্রেজার গুলো অপসারনের ব্যাবস্থা করব।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: