
মোঃ আহসানুল ইসলাম আমিন,মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ১২ বছরের নাবালিকা মেয়েকে বাল্য বিয়ের অপরাধে ৫০ বছর বয়স্ক বর দিদারুল ইসলাম দিদারকে ১বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রমান আদালত।
রবিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার কামারখাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে দিদারুল ইসলামকে আটক করে অভিযুক্ত বরকে সাজা প্রদান করেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তার।
দণ্ড প্রাপ্ত দিদারুল ইসলাম দিদার উপজেলার বেসনাল গ্রামের আঃকাদের বেপারীর ছেলে।
এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা যায় মুদি দোকানদার দিদারুল ইসলাম(৫০)প্রথম স্ত্রী রেখে ১২ বছরের নাবালিকাকে সহরা কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে করেন।
নাবালিকা, মাহিফুজা (১২)উপজেলার পয়শাগাও গ্রামের সাইজদ্দিন মৃধার মেয়ে ।
এই ঘটনায় ওঁই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান এইটি দিদারুলের ২য় বিয়ে,প্রথম স্ত্রী রেখেই অপ্রাপ্ত বয়সী মেয়েকে বিয়ে করে সে।
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গত বুধবার (৭অক্টোবর) মিতারা গ্রামের ইয়াসিন হুজুর রেজেষ্ট্রি ছাড়াই সরাহ কাবিনের মাধ্যমে এ বিয়ে পড়ান।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাহফুজার মামা তাইজুল ইসলাম জানান আমার বোন
ও বোনের স্বামী কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ধরণের।
তাদের দুইজনকে ফুঁসলিয়ে পার্শ্ববর্তী দিদারুল আমাদের কাউকে না জানিয়ে এ জঘন্য কাজটি করেছে,আমরা এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত বর দিদারুল ইসলাম জানান আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা,আমি ২০ বছর আগে বিয়ে করি,কিন্তু এখনো আমি নিঃসন্তান,এক মাস,দুই মাস বা ছয় মাস পরে আমি আরেকটি বিয়ে করবো,আমার প্রথম স্ত্রী আমার টাকা পয়সা সম্পতি আত্মসাৎ করার জন্যে আমার বিরুদ্ধে নানাবিধি অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তার ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করি।
অভিযুক্ত দিদারুল ইসলাম বিয়ের বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকার করেন, বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযুক্তকে ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে,অভিযুক্তকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জড়িত কাজী খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে,খোঁজ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: