
মোঃ আহসানুল ইসলাম আমিন,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে দুই ইউনিয়নের ৩ টি গ্রাম ও ৩ ফসলি জমি । বর্ষার শুরুর সাথে সাথে এবং নদীতে চলাচলরত নৌযানের ঢেউয়ের কারনে নদীর পাড় এলাকায় ৩ ফসলী উর্বর জমিগুলো বিলীন হতে চলছে।বাড়ি-ঘর ভাঙনের আশঙ্কায় করছে গ্রামবাসী, বৃহস্পতিবার ১২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চান্দেরচর ও বাসাইল ইউনিয়নের চরকুন্দলিয়া গ্রামের নদীর সীমানা পিলারসহ ৩ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ধলেশ্বরী নদীর স্রোত এবং চলাচলরত নৌযানের ঢেউয়ে ভাঙ্গনের বিলিন হয়ে যাবে বাড়ি ঘর, স্কুল, মসজিদ, হাট বাজার ও কমিউনিটি ।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা এ সময় সরকারে পক্ষ থেকে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। মানববন্ধনে বালুচর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, ধলেশ্বরী নদী এ পর্যন্ত নদী পিলাসহ ৩ ফসলী জমি বিলিন হয়ে গেছে ।
ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে ঘর-বাড়ি,স্কুল,মাদ্রসা,মসজিদ ও ১টি কমিউনিটি ক্লিনিক সকার যদি খুব দ্রুত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ২ টা গ্রামের ঘরবাড়ি নদীতে বিলিন হয়ে যাবে । ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি রমজান আলী জানান, আমরা আতঙ্কে আছি যে ভাবে জমি ভাঙ্গতে শুরু করেছে বিগত কয়েক বছর যাবত, যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে আগামী বছরে আমাদের এই চন্দের চর এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ধলেশ্বরী নদীতীর ধীর গতিতে ভাঙছে এমন অভিযোগ পেয়েছি। তবে প্রায় দুইশত মিটারের পর লোকালয় থাকায় বিষয়টি নিয়মিত নজরদারীতে রখেছেন তারা। শীঘ্রই স্বশরীরে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে কোন প্রকার দুর্যোগ হওয়ার আগেই প্রতিরোধের ব্যবস্থায় উর্ধতনদের জানাবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: