
গজারিয়া প্রতিনিধি :
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে ১৫ মামলার আসামি চাঁদাবাজ জুয়েল প্রধানের হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী।
বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতুলতলা গ্রামের মৃত গিয়াসউদ্দিন প্রধানের ছেলে জুয়েল প্রধান গত ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছে। গজারিয়া থানার এফ আই আর নং ১/২-৯৩ অভিযোগের বাদী ছোট রায়পাড়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শরীফ হোসেনের ভাই মহসিন জানান তেতুলতলা গ্রামের চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, ছিনতাইকারী চক্রের গডফাদার জুয়েল প্রধান চক্রের হামলার আশঙ্কায় ভয়ে কাটছে পরিবারসহ স্বজনদের দিন ।অভিযুক্ত জুয়েল প্রধানের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় বিভিন্ন সময়ে ডাকাতি ,ছিনতাই ,মারামারি, চাঁদাবাজিসহ ১৫ টি মামলা রয়েছে। একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে মোবারক, এবং জাকির হোসেন, মোশারফ, জানান জুয়েল চক্রের আতঙ্কে ও ভয়ে দিন কাটাচ্ছে ছোট রায়পাড়াবাসীরা।
গ্রামের স্বচ্ছল ও ব্যবসায়ী পরিবারের সবাই হামলা ও চাঁদার ভয়ে আতঙ্কে কাটছে দিন। তিনি আরো জানান বিগত কয়েক বছরে তা প্রমাণ হয়েছে । মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজত থেকে বের হয়েই জুয়েল চক্র চাঁদাবাজ ছিনতাই ও দাঙ্গা হাঙ্গামায় লিপ্ত হয়ে পড়ে ।
ছোট রায়পাড়া গ্রামের দীল মোহাম্মদের ছেলে রতন সরকার এবং জীবন জানান এই গ্রামের স্বচ্ছল পরিবার এবং যারা ব্যবসা করে সবাই জুয়েল চক্রের হামলার আতঙ্কে আছে। ছোট রায়পাড়া গ্রামের সকল স্তরের নারী-পুরুষের দাবি সন্ত্রাসী জুয়েল যাতে সরকারের প্রশাসনের আওতায় থেকে চলমান মামলার নিষ্পত্তি ঘটে ।
একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে ইমাম হোসেন, মোহাম্মদ রাজন মিয়া সহ অনেকেরই দাবি চাঁদাবাজ আতঙ্ক জুয়েল সরকারের জেলহাজতে থাকা অবস্থায় সবকয়টি মামলার বিচার যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকার শেষ করেন । এলাকার সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারেন স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন । গত৭ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে শিল্পপতি শরীফ হোসেনের বাড়ী সংলোগ্ন ছোট রায়পাড়া গ্রামে চন্দ্রপাড়া পাক দরবার শরীফ বসিবার স্থান সংলগ্ন মাঠে গ্রামের অধিকাংশ সচ্ছল পরিবারের ব্যক্তিবর্গ এই প্রতিবাদ ও দাবি জানিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে ।
অভিযুক্ত জুয়েল প্রধান চক্রের সকলকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছেন ছোট রায়পাড়া গ্রামবাসী । গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দিন জানান চাঁদাবাজির অভিযোগে জুয়েল প্রধান আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে । বাকি আসামিদের কে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে । গজারিয়া থানায় কোন চাঁদাবাজ ছিনতাই চক্রের সদস্য সক্রিয় হওয়ার সুযোগ নেই । এলাকাবাসী আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই সঠিক সময়ে আইনের আওতায় অপরাধী অবশ্যই ধরা পড়বে ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: