ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর মতবিনিময় স্বাক্ষরিত পিটিএ এর সুবিধা নিতে দ্রুত  কাজ করতে একমত

amaderodhikarpatra@gmail.com | প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:২২

amaderodhikarpatra@gmail.com
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:২২



ঢাকা ঃ ২৭ মাঘ  (১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) ঃ

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, ভুটান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতিকারী দেশ। উভয় দেশের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য আমরা ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে প্রিপারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) স্বাক্ষর করেছি। এটি বাংলাদেশের প্রথম পিটিএ স্বাক্ষর। ভুটান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা পিটিএ স্বাক্ষর করেছি। যতদ্রুত সম্ভব উভয় দেশের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে পিটিএ এর সুবিধা কাজে লাগাতে চাই। এজন্য আগামী মার্চ মাসে জয়েন্ট ওয়াকিং গ্রুপের মিটিং করে উভয় দেশের প্রয়োজনীয় কাজগুলো শেষ করা যায়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে নির্মাণ কাজের সামগ্রী আমদানি করে থাকে।  ভুটানের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, প্লাইউড, মিনারেল ওয়াটার, জুস, ঔষধ, শুকনা খাবারসহ অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ভুটানের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি পরিবহণ চালু হলে উভয় দেশ বাণিজ্যিক ভাবে উপকৃত হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিল( জরহপযবহ কঁবহঃংুষ)-এর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ সব কথা বলেন।

ভুটানের রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাক্ষরিত পিটিএ এর সুবিধা গ্রহণের জন্য ভুটান সরকার অগ্রাধীকার ভিত্তিতে কাজ করছে। আসন্ন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পন্ন করা হবে। বাণিজ্য সহজ ও দ্রুত করতে বাংলাদেশের বুড়িমারি, বাংলাবান্ধা, সোনাহাট এবং আখাউড়া স্থল বন্দরের সক্ষমতা ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তিনি পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে তৃতীয় কোন পক্ষের সহযোগিতা ছাড়াই সরাসরি বাণিজ্য করার উপর গুরুত্ব দেন। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ভুটান বাংলাদেশের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় পাথর সরবরাহ করতে আগ্রহী। তিনি বাংলাদেশ থেকে কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য রাসায়নিক সার আমদানি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি ভুটানের ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সুযোগ প্রদাণের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ভুটানে ৭.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৯.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। পিটিএ স্বাক্ষরের ফলে আশা করা হচ্ছে আগামীতে উভয় দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান এবং অতিরিক্ত সচিব(এফটিএ) মো. শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


(মো. আব্দুল লতিফ বকসী )
সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
        মোবা. ০১৭১১-১৬৫ ৮৮০,



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: