
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধে দেশে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার যে ‘প্রতিশ্রুতি’ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দিয়েছেন, তাতে ‘জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।’
আজ শুক্রবার রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আমরা রাত ৯টায় স্ট্যান্ডিং কমিটি জরুরি বৈঠকে বসছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হবে। সেখানে বিষয়টি আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাব।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া দীর্ঘ ভাষণে অনেক কিছু বলেছেন। সরকারের কৃতিত্ব, কর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যতে কী করতে চান ইত্যাদি। এর ফাঁকে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
নির্বাচনের তারিখে বিলম্বে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চাশের বেশি দল ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। আমরা যৌক্তিকভাবে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের বক্তব্য সবসময় যুক্তি সহকারে উপস্থাপন করেছি। সে বিষয়টি আমলে না নিয়ে এমন সময়ে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছেন, যে সময়ে পাবলিক পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া ঠিক থাকে না। এছাড়াও আমাদের জানামতে ফেব্রুয়ারির ১৬, ১৭ বা ১৮ তারিখের দিকে রমজান মাস শুরু হবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধে যদি নির্বাচন করতে হয়, তাহলে (৪৫ দিন যে সময়সীমা লাগে তফশিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত) রমজানের মধ্যেই ক্যাম্পেইন করতে হবে। এটা একটা অযৌক্তিক ধারণা।
ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারতো উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, খুব বেশি দেরি করতে চাইলে ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হলেও সেটি মেনে নেওয়ার মতো বিষয় হতো।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এদিন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে।’
‘এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।’
বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: