ঢাকা | রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২
আবুল মকসুদ মারা গেছে

আবুল মকসুদের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক 

খ্যাতিমান কলাম লেখক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ রাজনীতিবিদরা।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শোকবার্তায় বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যু আমাদের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। এসময় রাষ্ট্রপতি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এদিকে শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুম সৈয়দ আবুল মকসুদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফও পৃথক বার্তায় তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানান।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এক শোক বার্তায় বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ ছিলেন অসাধারণ পাণ্ডিত্যের অধিকারী। তিনি রাষ্ট্র, রাজনীতি, সাহিত্য এবং বিভিন্ন ইস্যুতে গবেষণায় দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। তার মৃত্যুতে জাতি এক অকৃত্রিম অভিভাবককে হারালো।

একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

এদিকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, বাংলা একাডেমি পুরুষ্কারপ্রাপ্ত সৈয়দ আবুল মকসুদ বর্ণাঢ্য কর্মময়জীবনে সাংবাদিকতার পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনীতি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে লেখালেখি করতেন। তিনি সাবলীল, বিশ্লেষণধর্মী ও কথনের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ আবুল মকসুদ। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন আবুল মকসুদ।

স্কয়ার হাসপাতালের ইনফরমেশন ডেস্ক কর্মকর্তা মারিয়া সরকার জাগো নিউজকে জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৯ মিনিটে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় আবুল মকসুদকে ধানমন্ডির বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, তিনি পথেই মারা গেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জের এলাচিপুরে সৈয়দ আবুল মাহমুদ ও সালেহা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া আবুল মকসুদ ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন। পরে তিনি তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন।

শহীদুল /

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: