ঢাকা | শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

কান চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত ‘দাগ’

Admin 1 | প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:৪১

Admin 1
প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:৪১

বাংলাদেশের নির্মাতা জসীম আহমেদের চলচ্চিত্র ‘দাগ’ ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭০ তম আসরের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে ছবিটি নির্মিত। আগামী ১৭ থেকে ২২ মে অনুষ্ঠিতব্য উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হবে। এটি নির্মাতার প্রথম চলচ্চিত্র। এর আগে তিনি টেলিভিশনের জন্য অসংখ্য প্রামাণ্যচিত্র ও কয়েকটি নাটক নির্মাণ করেছিলেন। তার নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রের বেশিরভাগই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাকিস্থানের কারাজীবন নিয়ে নির্মিত “বন্দীশালায় নয় মাস” ৯০ দশকে বিটিভিতে প্রচার এবং ব্যাপক আলোচিত হয়। তার সর্বশেষ নাটক প্রত্যাবর্তন যা ২০০১ সালে একুশে টেলিভিশন প্রচার করে।দীর্ঘ বিরতির পর নির্মিত তার এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন শতাব্দি ওয়াদুদ, শারমিন জোহা, শশী, বাকার বকুল ও অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপঃ ১৯৭১ সালে বাঙ্গালি জাতি যখন পাকিস্থানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তি সংগ্রামে ব্যস্ত, পুরনো ঢাকার একটি বাড়িতে বাবার সাথে বসবাস করছিল শিলা। এক রাতে বাসায় আসে তার হবু স্বামী মুক্তিযোদ্ধা জাফর। জানায়, ঢাকায় গেরিলা আক্রমণ হবে। অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধার মত জাফরও এসেছে আক্রমণে অংশ নিতে। মনে প্রাণে মুক্তিযুদ্ধকে নিজেরই যুদ্ধ গণ্য করা শিলার বাড়িতে দুদিন অবস্থান করে জাফর চলে যায় তার গন্তব্য গেরিলা যুদ্ধে। পরদিন রাতে প্রচণ্ড গুলাগুলির শব্দে শিলার ঘুম ভাঙে। তার দরজায় কড়া নাড়ে পাকিস্থানি বাহিনীর দোসর কয়েকজন মুখ বাধা রাজাকার। তারা জাফরের অবস্থান জানতে চেয়ে শিলার বাবাকে খুন করে। শিলাকে চাপ দেয় জাফর সম্পর্কে তথ্য দিতে। শিলার কাছ থেকে কোন তথ্য না পেয়ে রাজাকারদের দলনেতা শিলাকে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় শিলা ধর্ষক খায়েরকে চিনতে পারে। দেশ স্বাধীনের পর পর অন্যান্য রাজাকারের মতো খায়েরও পালিয়ে যায়। ১৯৭৫ এ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্যান্য সকল রাজাকারের মত খায়েরেও পুনর্বাসিত হয়। ৭১ এ সেই ধর্ষণের দাগ ও ক্ষত রয়ে যায় শিলার মনে এবং খুঁজতে থাকে বদর বাহিনীর কমান্ডার খায়েরকে। ১৯৭৯ সালে খায়েরের খোঁজ পেয়ে পরিকল্পনা করে খায়েরকে বিয়ে করে আত্মীয়স্বজনের অমতে।

অসংখ্য নারীকে ধর্ষণকারী খায়ের অন্যান্যদের মত শিলাকেও ভুলে যায়। বাসর রাতে খায়ের নববধূ স্ত্রী শিলাকে একইভাবে বিছানায় নেয়, যেভাবে সে অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করেছিল ১৯৭১ এ যুদ্ধকালীন। শিলা ফুলশয্যার রাতেই সুযোগ বুঝে প্রতিশোধ নেয়। তার কাছে এটিও মুক্তিযুদ্ধের অংশ, যে যুদ্ধ শেষ হয়নি।


কলাকুশলী-
কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : জসীম আহমেদ , চিত্রনাট্য ও সংলাপ : পান্থ শাহরিয়ার, চিত্রগ্রহণ : জোগেন্দ্র পাণ্ডা

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: