
প্রেসিডেন্ট ওবামার শাসনামলের অন্যতম প্রধান পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক অর্জন ছিল কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সে নীতি পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছেন। জানা গেছে, জুন মাসের কোনো একসময় মায়ামিতে এক ভাষণে তিনি এই পরিবর্তন ঘোষণা করবেন। ডেইলি কলার নামক ওয়েব পত্রিকায় প্রকাশিত এই খবর সম্বন্ধে কোনো মন্তব্য করতে হোয়াইট হাউস অস্বীকার করেছে।
ওবামার আমলে কিউবার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতব্যবস্থা শিথিল করা হয় এবং যেকোনো কিউবান যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখা মাত্রই রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার নিয়ম বাতিল করা হয়। কিউবাবিরোধী অতিকট্টরপন্থীরা ওবামার এই পরিবর্তনে রুষ্ট হলেও অধিকাংশ আমেরিকান তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প প্রথমে এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানান। পরে মায়ামিতে কিউবান-আমেরিকানদের মধ্যে প্রচারণার সময় এই নীতি পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন। রিপাবলিকান সিনেটর রুবিও এবং ডেমোক্রেটিক সিনেটর মেনেনডেজ ওবামার কিউবা নীতি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। জানা গেছে, তাঁরা দুজনেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের সঙ্গে এই প্রশ্নে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন।
ঠিক কোন কোন নীতি বাতিল হতে যাচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে কিউবায় মার্কিন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন কড়াকড়ি আরোপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। হোয়াইট হাউস সূত্রে বলা হয়েছে, কিউবান সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন কোনো ব্যবসায় মার্কিন বিনিয়োগ নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিমান চলাচল ও পর্যটনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসতে পারে। তবে কংগ্রেসের অনেক সদস্যই এই পরিবর্তনের বিপক্ষে। অ্যারিজোনার রিপাবলিকান সিনেটর জেফ ফ্লেক সম্প্রতি একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, যাতে কিউবায় মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই প্রস্তাবের পক্ষে নয়জন রিপাবলিকান সিনেটর তাঁদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: