.jpg)
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে টেকসই এবং সবুজ ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেন এটি স্বাক্ষর করেন। এসময় সফররত ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি তিন দিনের সফরে সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকায় এসেছেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেনের মধ্যে একই স্থানে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর শেষে যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করে আজ এ সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। দুই দেশ বিশ্বব্যাপী একটি টেকসই এবং সবুজ ভবিষ্যৎ অর্জনের লক্ষ্যে অংশীদার হতে চায়। টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তির কাঠামোতে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, প্রশমন, পরিবেশগত ক্ষতি এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির ওপর ফোকাস করা হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক যৌথ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেকসই এবং সবুজ ভবিষ্যৎ অর্জনের লক্ষ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে একটি ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্টে প্রবেশকারী প্রথম দেশ ডেনমার্ক। এই সহযোগিতা কূটনৈতিক তৎপরতা এবং উন্নয়ন সহযোগিতা থেকে শুরু করে জলবায়ু তহবিল এবং বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও বেসরকারি খাতের সম্পর্ক, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব সহ সকল উপকরণকে কার্যকর করবে।
ডেনমার্কের ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলাদেশে তার প্রথম সফরের সময় চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরে খুব খুশি হয়েছেন। ডেনমার্ক এবং বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু এজেন্ডায় শক্তিশালী এবং সক্রিয় জড়িত দুটি দেশ। আজ সবুজ কাঠামোর নথিতে স্বাক্ষর করা, ইঙ্গিত দেয় যে আমরা প্যারিস চুক্তি - জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তর্জাতিক চুক্তিতে করা প্রতিশ্রুতিগুলির উপর কাজ করতে প্রস্তুত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: