ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
আওয়ালীগ সরকার অত্যন্ত দুর্বল

আক্রমণের মাধ্যমে সরকার কে প্রতিহত করতে হবেঃ ড. খন্দকার মোশাররফ

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২ ০৬:২৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২ ০৬:২৩

 
 

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে  ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি এবং আওয়ামী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল।তাতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেনরা ষ্ট্রক্ষমতায় থাকা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার একা হয়ে গেছে। তাদের কোনো জনসমর্থন নেই। সরকার অত্যন্ত দুর্বল। একটা ধাক্কা দেওয়া বাকি আছে। সেই ধাক্কা দেওয়ার আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই ফয়সালা রাজপথে হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন— রাজপথে ফয়সালা হবে। এই রাজপথ থেকেই আমাদেরকে ধাক্কা দিতে হবে। আমাদের ছাত্রদল ঢাকায় তাদের শরীরের রক্ত দিয়ে রাজপথে এই ধাক্কা দেওয়ার আন্দোলন শুরু করেছে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সব অঙ্গসংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্রদলের পাশে থেকে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের বিকল্প নেই।’

নিরপেক্ষ নির্বাচন, সরকারের পদত্যাগ, বর্তমান সংসদ বাতিলের দাবিতে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হতে হবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে হামলা হয়েছে দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আমি হামলাকারীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই তাদের নেত্রী ক্ষমতায় থাকার পরও বিশ্বজিৎ হত্যাকারীরা রেহাই পায়নি। আবরার ফাহাদের হত্যাকারীরা রেহাই পায়নি। আজকের হামলাকারীরা ভবিষ্যতে জনতার আদালতে রেহাই পাবে না।’

সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করে ছাত্রদলের ওপর হামলা করেছে বলেও মন্তব্য করেন মোশাররফ। বলেন, ‘সরকার ছাত্রদের হাতিয়ার বানিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না সঞ্চালনা সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আক্রমণের বিপরীতে পাল্টা আক্রমণ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই। মার খাওয়া একমাত্র কাজ নয়। রক্ত দিয়ে প্রতিবাদের খাতায় নাম লেখালে হবে না। জনগণের বিপক্ষে কথা বললে প্রয়োজনে কারও রক্ত দিয়ে বাধা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার এইটুকু কথা, বাধা আসলে পাল্টা বাধা দিতে হবে। আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে। পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করতে হবে।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: