odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 28th October 2025, ২৮th October ২০২৫

চা রপ্তানির উদ্যোগ

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৫ June ২০২২ ০৮:৪৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৫ June ২০২২ ০৮:৪৫

 

শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টি বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ‘২য় জাতীয় চা দিবস-২০২২’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিপু মুন্সী  বলেন চা অত্যন্ত সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্য। বাংলাদেশের চায়ের মান উন্নত হওযার কারণে বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বিপুল। তাই দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এবারের জাতীয় চা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প’।
টিপু মুনশি বলেন, দেশে চায়ের উৎপাদন বাড়ছে, একই সাথে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে। সেজন্য প্রত্যাশা মতো চা রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না।  তিনি জানান, ২০০৯ সালে দেশে চা উৎপাদন হতো ৬০ মিলিয়ন কেজি, ২০২১ সালে বেড়ে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে  ৯৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি। তারপরও তেমন রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি না হলে, বিদেশ থেকে চা আমদানি করে আমাদের দেশের চাহিদা মিটাতে হতো। 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে দেশের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদন শুরু হয়। ২০২১ সালে সেখানে ১৪ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম জেলায় এখন চা উৎপাদন হচ্ছে, এ অঞ্চলের মানুষ চা উৎপাদনে মনোযোগি হয়েছেন। সেখানে অনেক পতিত জমিতে চা উৎপাদন করা হচ্ছে। 
তিনি আরও বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদন না হলে বিদেশ থেকে চা আমদানি করতে হতো। চায়ের উৎপাদন আমাদের আরও বাড়াতে হবে। এজন্য সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছে। চায়ের নতুন জাত উদ্ভাবন, উৎপাদন বৃদ্ধি, নিলাম, বাজারজাতকরণসহ প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, চা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। একসময় রপ্তানি ক্ষেত্রে আমাদের চা ছিল দ্বিতীয় স্থানে। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরাজিত শক্তি চা শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি করে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা শিল্পকে নতুন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপকভিত্তিক কার্যক্রম হাতে নেন। তিনি মনে করেন চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক সহায়তা দরকার।
উল্লেখ্য, এবছর দেশে  দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপন হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে অসামান্য অবদান এবং চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম., এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, টি ট্রেডার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ওমর হান্নান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: