odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 4th December 2025, ৪th December ২০২৫
পরিবেশবান্ধব উৎপাদনে না গেলে কঠিন পদক্ষেপ: গার্মেন্টস শিল্পকে পরিবেশ উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্পে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের আহ্বান ও গ্রিন ফ্যাক্টরির গুরুত্ব

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১ December ২০২৫ ২১:৩৬

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১ December ২০২৫ ২১:৩৬

ঢাকা: ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্প, বিশেষত গার্মেন্টস খাতকে বিশ্ববাজারে সুনাম ধরে রাখতে দ্রুত পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া, শ্রম-অধিকার সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবস্থাপনায় আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি কঠোরভাবে সতর্ক করে বলেছেন, কেউ পরিবেশগত বিধান ভঙ্গ করলে সরকার কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
আজ পূর্বাচলে বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫-এ বিকেএমইএ আয়োজিত ‘দ্য পোটেনশিয়ালিটি অব বাংলাদেশ আরএমজি সেক্টর : দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


ব্র্যান্ডিং ও বিশ্বমানদণ্ড রক্ষা:
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “‘মেড ইন বাংলাদেশ’ এখন মর্যাদার প্রতীক এবং দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পসমূহ দেশের ব্র্যান্ডিং ও পরিচিতি গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্ববাজারে এ সুনাম ধরে রাখতে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন, শ্রম-অধিকার সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করা অপরিহার্য।”


তিনি জোর দিয়ে বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য শ্রম আইন প্রতিপালন, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, দক্ষ পানি ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করা এখন প্রধান শর্ত।
পরিবেশ দূষণে কঠোর ব্যবস্থা:
পানি ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বারোপ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শিল্পে পানির অপচয় কমিয়ে রিসাইক্লিংয়ের দিকে যেতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “শিল্পবর্জ্য প্রবাহিত হয়ে নদী-নালা দূষিত করলে তা দেশের পরিবেশ ও শিল্প-উভয়ের জন্যই হুমকি। কেউ এই বিধান ভঙ্গ করলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।”


তিনি গর্বের সাথে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত বিশ্বের অন্যতম বেশি গ্রিন ফ্যাক্টরি সার্টিফাইড শিল্পের অধিকারী, যা এ খাতকে টেকসই উন্নয়নের বিশ্বমানদণ্ডে উপনীত করেছে। তিনি আরও জানান, দেশের সরকারি ভবনগুলোকেও ‘গ্রিন বিল্ডিংয়ে’ রূপান্তর করার কাজ চলছে এবং শিল্পখাতও এ পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ইউরোপীয় নীতিমালায় প্রস্তুতির তাগিদ:
উপদেষ্টা ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের নতুন পরিবেশগত নীতিমালা—বিশেষত প্লাস্টিক প্যাকেজিং ও সাপ্লাই-চেইন কমপ্লায়েন্স—মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “বিশ্ববাজার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। গার্মেন্টস শিল্পকে এখনই প্রস্তুত হতে হবে। টেকসই উৎপাদন এবং পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং পদ্ধতি দ্রুত গ্রহণ না করলে প্রতিযোগিতা কঠিন হবে।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: