
অধিকারপত্র প্রতিবেদক : চিকুনগুনিয়া। আফ্রিকা মহাদেশের তানজানিয়ার একটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নিজস্ব ভাষার এই শব্দ বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায় সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত। কারণ, এডিস মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া জ্বরে ভুগছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। ঢাকা শহরে যে বাসায়ই এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে, সে বাসায় গড়ে দুজনের বেশি (২.৬ জন) আক্রান্ত হয়েছে।
চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত পরিবারের ৫ হাজার ৫৪৩ জন এই জরিপে অংশ নেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় ৭৬ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা জ্বরের সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন।
স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ এবং এই জ্বরের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকেরাও বলছেন, চিকুনগুনিয়ার উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, জ্বরের সময় নিদারুণ যন্ত্রণা আর জ্বরের পরও গিঁটে গিঁটে অসহ্য ব্যথা। আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা পর্যন্ত করতে পারছেন না। তানজানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মাকোন্ডে জাতিসত্তার নিজস্ব ভাষা কিমাকোন্ডে থেকে আসা চিকুনগুনিয়া শব্দটির অর্থই গিঁটের ব্যথায় কুঁকড়ে যাওয়া।
ঢাকা শহরে এ বছর প্রতি ১০ জনে ১ জনের চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর প্রাদুর্ভাব চলবে। সব মিলিয়ে এবার শহরের কমপক্ষে ১৮ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
২০১১ সাল থেকে চিকুনগুনিয়া নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করা তিনটি জরিপের ওপর ভিত্তি করে এই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: