odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 28th October 2025, ২৮th October ২০২৫

দেশের ভাষা, সংস্কৃতি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রবাসীদের প্রতি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের আহ্বান

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২২ February ২০২৩ ০৬:১৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২২ February ২০২৩ ০৬:১৫

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দেশের সমৃদ্ধ ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বাপসনিউজ। ভাষা আন্দোলনের সকল শহিদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি অমর একুশের চেতনা সমুন্নত রাখার জন্যও সকলের প্রতি অনুরোধ জানান। ১৮ ফেব্রুয়ারি ,শনিবার সন্ধ্যায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ও এর আশপাশের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘ডিসি একুশে এলায়েন্স’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালুমনাই ফোরাম ইনক্ (ডুয়াফি)। ভাষা আন্দোলনের পটভূমি বর্ণনা করে রাষ্ট্রদূত ইমরান উল্লেখ করেন, এই আন্দোলন বাঙালিদের অন্যায় ও অসাম্যকে প্রশ্রয় না দিতে এবং দমন-পীড়নকারী শক্তির কাছে মাথা নত না করতে শেখায়। তিনি বলেন, অমর একুশের চেতনা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে অফুরন্ত প্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর বিলুপ্তির হুমকিতে থাকা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আর্লিংটন কাউন্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব ক্রিশ্চিয়ান ডরসে। আরলিংটন কাউন্টি বোর্ডের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনে বাংলাদেশের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে জনাব ডরসে বলেন যে বাংলাদেশিরা 1952 সালে তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য লড়াই করেছিল ও জীবন দিয়েছিল যা বিশ্বে বিরল। এ উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে ছিল অমর একুশের উপর ভিত্তি করে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশী শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত সংগীত ও দলগত নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি এবং মঞ্চ নাটক। পরে রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা মঞ্চে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এবং এটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন ড. আমিনুর রহমান ও ড. রুনা হক। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি চারঘন্টা ব্যাপী এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: