ঢাকা | সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি,জামাতের সময় সারের জন্য কৃষকে জিবন দিতে হয়েছে : শেখ পরশ

Internship | প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:১৮

Internship
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:১৮

নিজস্ব  প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান  অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সার চাইতে গেলে কানসাটে বিএনপি ১৮ জন কৃষককে গুলি  উপহার দেয় নির্বিচারে হত্যা করে অসহায় কৃষকদের । এছাড়াও কানসার্টে বিদ্যুতের দাবিতে জনগণ আন্দোলন করলে সেখানেও বেশ কয়েকজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করে বিএনপি-জামাত সরকার। তাদের হাত কৃষকের রক্তে রঞ্জিত। তিনি বলেন, তারা এখন পাগল হয়ে পদযাত্রার নামে পথে পথে ঘুরছে। তারা তো ক্ষমতায় ছিল একাধিকবার। এদেশের গরীব মানুষের সাথে প্রতারণা, নিপীড়ন আর বঞ্চনা ছাড়া কিছু করতে পারে নাই। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ফরিদপুরের ভাঙ্গার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কৃষক বন্ধুদের সমন্বয়ে কৃষি সম্মেলন ও কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শেখ পরশ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলা একাডেমি পুরষ্কারপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধু গবেষক সুভাষ সিংহ রায়, সঞ্চালনা করেন- যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আমাদের যুবসমাজের একটা বিশাল জায়গা জুরে রয়েছে আমাদের প্রিয় কৃষক ভাইয়েরা । যুবলীগেরও একটা বিশাল অংশের নেতা-কর্মীরা কিন্তু কৃষক। বিশেষ করে আমাদের ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের বহু নেতা-কর্মীরা কিন্তু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে সম্পৃক্ত। কাজেই আমাদের কৃষক ভাইদের বাদ দিয়ে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তীর কোন কর্মযজ্ঞ, কোন কর্মসূচি অথবা কার্যক্রম সার্থকতা অর্জন করতে পারে না। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর এই বছর আমরা কৃষক ভাইদে জন্য উৎসর্গ করছি। আমি মনে করি কৃষি এবং শিক্ষকতা সর্বোচ্চ সম্মানজনক পেশা। তিনি বলেন, কৃষি অত্যন্ত সৎ একটা পেশাও বটে। যুব সমাজের সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বেকার সমস্যা সমাধানে ব্যবসা বা চাকুরীর পিছনে না দৌড়াইয়া, কৃষি ক্ষেত্রে আপনারা আত্মনিয়োগ এবং মনোনিবেশ করতে পারেন। কারণ কৃষিই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় একটা ক্ষেত্র। আমি যুবসমাজকে আহ্বান জানাবো এই সৎ পেশায় আত্মনিয়োগ করতে। বঙ্গবন্ধুকন্যার ২০৪১ সালের যেই ভীষণ, একটা সুখী-সমৃদ্ধ, মর্যাদাশীল এবং উন্নত বাংলাদেশ, সেই ভীষণ বাস্তবায়ন আমাদের কৃষকরাই বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখবে। জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের কৃষকেরা লাঙ্গল ফেলে অস্ত্র হাতে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুরও অগাধ আত্মবিশ্বাস ছিল বাংলার কৃষক ভাইদের প্রতি। শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। করোনার নির্মম আঘাতে বিশ্ব যখন পর্যদস্তু, ঘোর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে, তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে খাদ্য ঘাটতি হয় নাই। এই কৃতিত্ব ও গৌরব আমাদের কৃষক ভাইদের। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কৃষি সম্বন্ধে দুইটি স্লোগান আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে (১) আমার বাড়ি আমার খামার (২) এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। এই স্লোগান দুটি আমাদের প্রেরণাতে রূপান্তরিত করতে হবে, সেই প্রেরণা এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। একই সাথে সমগ্র দেশব্যাপী কৃষি সম্মেলন ও কৃষি উপকরণ বিতরণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: