ঢাকা | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মান্দায় যুবলীগ নেতাকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২৩ ০৮:৩৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২৩ ০৮:৩৭

সারোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক: নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন(ইউপির) যুবলীগের সাধারন সম্পাদক তারেক হোসেনকে ফাঁসাতে ও বিতর্কিত করতে এক সংখ্যালঘুকে দিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজি হামলা মারপিটের দোহায় দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজনৈতিক ভাবে হয়রানি করতেই এমন সাজানো মামলা করা হয়েছে বলে মনে করেন ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শীরা। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালের দিকে দেলুয়াবাড়ি বাজারে যুবলীগ নেতা তারেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী জীবন সাহার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তবে ঘটনার আড়াই ঘন্টা পর অদৃশ্য ক্ষমতায় তদন্ত ছাড়াই মামলা রেকর্ড করেন মান্দা থানা। এমন মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মামলার বিবরনে উল্লেখ, নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি মৌজার অন্তর্গত ১২৪৪ দাগে ১২ শতাংশ জমি ১৯৯৯ সালে কিনেন রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানার রানীনগর এলাকার মৃত এরশাদ আলীর পুত্র আব্দুর রশিদ । জায়গাটি কিনার পর সেখানে মার্কেট নির্মান করেন। যার দলিল নম্বর ৪৯৩৬/১৯৯৯ ইং তারিখ ৩০/৫/১৯৯৯ ইং। মার্কেট নির্মানের পর সেখানে ব্যবসা করছেন মামলার বাদী মান্দা উপজেলার ভাঁরশো ইউপির কালীসফা গ্রামের মৃত কিশোরী মোহন সাহার পুত্র জীবন সাহা।
মামলার বাদী জীবন সাহা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তারেক ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারনে দলবল এনে গত রোববার আমাকে ও ভাইকে মারপিট করে এবং ২ লাখ টাকা নেয় ও ব্যাংকে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার জন্য ব্যাগে ছিল সেটাও নিয়ে নেয়। দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এত টাকা চাঁদা নিল জানতে চাইলে তিনি জানান, হিন্দুদের গায়ে হাত দিলে কি হয় সেটা বোঝানো হবে। আমার ভাইকে বেধড়ক পিটিয়েছে। তারেকও মার্কেটে ব্যবসা করে।
স্থানীয়রা জানান, ওই জায়গাটি আদিবাসী সম্প্রদয়ের। কিন্তু রশিদ জালিয়াতি করে হিন্দু সাজিয়ে রেজিস্ট্রি নিয়েছে। পরে আদিবাসী জায়গাটি কিনেন। তার কাছ থেকে ভাড়া নেয় তারেক। এসব নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। মামলার কোন বিষয় না এটি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার তারেক।
তারেক জানান, জীবনের সাথে কথাকাটিকাটি হয়েছে। সকাল ১১ টার সময় হট্রগোল হয়েছে আর দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে মামলা হচ্ছে। আমি প্রতিহিংসার স্বীকার। তিনি আরো জানান আদিবাসী সম্প্রদয়ের কাছ থেকে আরেক আদিবাসী জমিটি কিনেছে, আর আমি ভাড়া নিয়েছি। রশিদ জালিয়াতি করে কিনে খারিজ করেছেন।
রাজশাহী শহরের জমি কিনা আব্দুর রশিদ জানান, দীর্ঘ ১৯৯৯ সালে জমি কিনে খারিজ করে নিয়েছি। আদিবাসীর জমি কিনতে হলে ডিসির পারমিশন লাগে আপনি কি সেভাবে কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমি হিন্দু সম্প্রদয়ের কাছ থেকে কিনেছে। জালিয়াতি করে কিনলে কি খারিজ করা যেত বলে দায় সারেন তিনি।
মান্দা থানার ওসি নুর-এ আলম সিদ্দিকী জানান, ঘটনার পর বাদি এজহার দায়ের করে এবং তদন্ত করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম মন্ডল জানান, মামলার বিষয়টি শুনেছি, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে দলীয় ফর্রামে আলোচনা করে দৃষ্কূতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: