
বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ক্যাম্পাসের বিনোদপুর গেটে ৩ ঘন্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাস সুপারভাইজার ও স্থানীয়দের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর পুলিশ ফাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন। চিকিৎসা নেয়ার জন্য আরও শিক্ষার্থী আসতেছে। গুরুতর আহত ১০ জন শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বিনোদপুর গেটে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ইটপাটকেল ছুড়ছেন কয়েকশত স্থানীয়। তাদের ছোঁড়া ইটে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এরআগে বিনোদপুরে মেসে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের আক্রমণের শিকার হন ৭/৮ জন শিক্ষার্থী। এসময় সাংবাদিকের উপরও হামলা করেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে ইসলাম ট্রাভেলসের বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির ড্রাইভার শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সাথে কথাকাটাকাটি হয় আকাশের। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট এসে আবারো কন্টাক্টারের সাথে ঝামেলা বাধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সাথে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়র মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড় হন এবং স্থানীয় দোকানদারে উপর চড়াও হন।
একপর্যায়ে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া করেন। এসময় দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের উপর হামলা চালায় স্থানীয়রা।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, 'পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে। র্যাবও এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। '
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: