
মো.আহসানুল ইসলাম আমিন :
ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সহ পাঁচ জেলার সব অবৈধ ইটভাটা দুই সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় থাকা অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।পাঁচ জেলার মধ্যে মুন্সিগঞ্জের নাম থাকলেও হাইকোর্টের আদেশের ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি এই জেলাতে।
রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী সিরাজদিখান উপজেলায় অর্ধশত ইটভাটার মধ্যে প্রশাসনের অবৈধ ঘোষণা করা অধিকাংশ ইটভাটা এখনো বহাল তবিয়তে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। স্থানীয় সুশীল সমাজের কর্তাব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানায়ায়, প্রতিবারই হাই কোর্টের নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন, লোকদেখানো ভ্রাম্যমাণ আদালত ও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় যথা নিয়ম অনুযায়ী কিন্তু অগোচরে থেকে যায় বাস্তবতার মূল উদ্দেশ্য। অভিযান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাসহ উচ্ছেদ করার একদিন পরই স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাক্সগুলি দেখিয়ে পুনরায় পুরো দমে চালু করা হয় এইসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান। এছাড়া যখনই ভ্রাম্যমাণ আদাত এবং উচ্ছেদ অভিযান চালানোর নির্দেশ আসে অবৈধ ইটভাটা গুলোর উপর তখন অধিকাংশ ইটভাটার কার্যক্রম থাকে প্রায় শেষের দিকে তাই প্রশাসনের নির্দেশ স্থানীয় ইটভাটা মালিকরা তেমন তোয়াক্কাও করেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ইটভাটার মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বলেন, ইটভাটা করতে আমাদের যেসব কাগজ প্রয়োজন হয় সবগুলা কাগজ আমাদের নেই কিছু-কিছু কাগজ আছে কিছু কিছু কাগজ আবার প্রক্রিয়াধীন তারপরও আমরা ইটভাটা চালাচ্ছি সেটা অনেক কায়দা করে। ইটভাটা মালিক সমিতির মাধ্যমে কেউ আবার একক ভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ ইটভাটা গুলো চালাই। তারা আরও বলেন প্রতিষ্ঠান চালাতে গিয়ে আমরা বৈধ পথের চেয়ে অবৈধভাবে প্রচুর পরিমানে টাকা দিতে হয়।
সিরাজদিখান উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, সিরাজদিখানে ইটভাটা সমিতির আওতাভুক্ত মোট ইটভাটা হলো ৪৮টি শুধু সিরাজদিখান নয় সারা মুন্সিগঞ্জে এখন আর অবৈধ ইটভাটা নেই।সরকারের সব বিধি মেনে আমরা এখন ইটভাটা চালাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযগ করা হয়েছে । অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধেই দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শরীফুল আলম তানভীর বলেন, এই উপজেলায় মোট কয়টি ইটভাটা অবৈধ আছে এই মূহর্তে বলতে পারছিনা। দ্রুতই আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত করতে নামবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: