ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
টিআইবি’র গবেষণা প্রতিবেদন

পাসপোর্ট করতে বেশি দুর্নীতি পুলিশ ভেরিফিকেশনে

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৭ ১৮:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৭ ১৮:৪৭



পাসপোর্ট অফিসের সেবায় ঘুষ বা নিয়ম-বর্হিভূত অর্থ দেওয়ার গড় পরিমান ২ হাজার ২২১ টাকা। পাসপোর্ট করতে গিয়ে সেবাগ্রহীতারা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হন পুলিশী তদন্তে (ভরিফিকেশন)। এক্ষেত্রে ৭৬ দশমিক ২শতাংশ অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার এবং ৭৫ দশমিক ৩শতাংশ সেবাগ্রহীতাকে পুলিশকে ঘুষ বা নিয়ম-বর্হিভূত অর্থ দিতে হয়। ঘুষ বা নিয়ম-বর্হিভূত অর্থ হিসেবে গড়ে ৭৯৭ টাকা দিতে হয়।
সোমবার ধানমন্ডিস্থ টিআইবি কার্যালয়ে ‘পাসপোর্ট সেবায় সুশাসন: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত সুপারিশ উপস্থাপন করেন টিআইবি’র গবেষণা ও পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শাহনূর রহমান। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত টিআইবি এই গবেষণা কার্যক্রম চালায়। জরিপে প্রতিটি বিভাগে জেলা পর্যায়ে মোট ১ হাজার ৪৫৩ জন অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপরসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, সদস্য এম. হাফিজউদ্দিন খান, নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই জরিপে অংশ নেওয়া সেবাগ্রহীতাদের ৫৫ দশমিক ২ শতাংশ অনিয়ম, হয়রানি ও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ পাসপোর্ট করার সময় দালাল বা অন্যান্যের সাহায্য নিয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ দালালের সহযোগিতা নিয়েছে। এই সহযোগিতা নেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি সিলেটে। এই সংখ্যা ৬০ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম রাজশাহীতে, যা ২০ শতাংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৫ সালের তুলনায় দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: