ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
কাতারের রাষ্ট্রদূতের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক

কাতার থেকে এলএনজি আমদানি শুরু ২০১৮ সালে

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০১৭ ১৬:৫৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০১৭ ১৬:৫৯

 

 

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কাতারের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কাতারে কয়েক লাখ বাংলাদেশী কাজ করছে। সেখানে আরো জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। কাতারে বাংলাদেশের শাক সবজিসহ বেশ কিছু পণ্য রপ্তানি হয়। বাংলাদেশের গ্যাসের চাহিদা মিটানোর জন্য কাতার থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষর করা হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এলএনজি টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন হবে, তখন আর দেশে গ্যাসের কোন সংকট থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ দেশের কল-কারখানায় প্রয়োজনীয় গ্যাস সংযোগ নেওয়া সম্ভব হবে। মন্ত্রী বলেন, কাতারের সাথে জনশক্তি রপ্তানি বাদে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষীক বাণিজ্য খুব বেশি নয়। গত বছর বাংলাদেশে কাতারে ২৬.৪০ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে, একই সময় সেখানে ১৫২.২০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত Ahmed Mohamed Al- Dehimi এর সাথে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, কাতার বাংলাদেশেল বন্ধু রাষ্ট্র। কাতার বিশ্বের মধ্যে বৃহৎ এলএনজি রপ্তানি কারক দেশ। কাতার বিভিন্ন দেশে প্রায় ১০০ মিলিয়ন টন এলএনজি রপ্তানি করে থাকে। ২০১৮ সালে এলএনজি আমদানি শুরু হলে বাংলাদেশের কল-কারখায় গ্যাসের সমস্যা থাকবে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কাতারে আরো জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। সেখানে সুনামের সাথে বাংলাদেশে জনসক্তি কাজ করে যাচ্ছে। কাতারে বাংলাদেশের শাক-সবজির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে চাহিদা মোতাবেক এ গুলো রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। রপ্তানির আগে শাক-সবজি প্রক্রিয়াকরনের পর্যাপ্ত প্লান্ট বাংলাদেশে নেই। এখাতে কাতার বিনিয়োগ করলে রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কাতারের বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে পারেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, কাতারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা খুবই কম। সেখানে ঔষধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, আইটি প্রোডাক্ট, হিমায়িত মাছ, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক ও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি এবং উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে কাতারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব।

এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: