ঢাকা | Thursday, 16th October 2025, ১৬th October ২০২৫

স্বাক্ষর জালের অভিযোগে বিমান বাহিনীতে কর্মরত জবি শিক্ষার্থী আটক

জবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৫ May ২০২৩ ০০:৩৪

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৫ May ২০২৩ ০০:৩৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা অনুষদের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিভাগ পরিবর্তনের আবেদনের দায়ে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে তাকে আটক করে রাজধানীর কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়। ২০২০-২১ সেশনের ওই শিক্ষার্থীর নাম সবুজ আহমেদ। এ ছাড়াও সে বিগত দুই মাস ধরে বিমান বাহিনীর ওয়াচম্যান পদে কর্মরত রয়েছে।

জানা যায়, সবুজ আহমেদ নামের এই শিক্ষার্থী বিভাগ পরিবর্তন করার জন্য নিজেকে হিন্দু শিক্ষার্থী দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল অদুদের স্বাক্ষর নকল করে কলা অনুষদের ডীন বরাবর আবেদন করেন। 

নিজেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী উল্লেখ করে সজীব তার বিভাগ পরিবর্তনের আবেদনপত্রে লিখেন, আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে পড়াশোনা করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ কারণে আমি দর্শন বিভাগে মাইগ্রেশনের ইচ্ছা পোষণ করছি। 

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন এই শিক্ষার্থীর আবেদনটি যাচাই করতে গেলে জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি সামনে আসে। পরে তার সব কাগজপত্র ঘেটে দেখা যায় সবগুলোতেই জাল স্বাক্ষর। পরবর্তীতে সবুজকে প্রক্টর অফিসে হস্তান্তর করা হয়। 

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনা সামনে আসার পর এই শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে শাহবাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, চেয়ারম্যানের সীল বানিয়ে স্বাক্ষর করে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য ডীন বরাবর আবেদন করেছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। এরপর বহিষ্কারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা তার কর্মস্থল বিমান বাহিনীকেও বিষয়টি জানিয়েছি। তারা তাদের মতো ব্যবস্থা নেবে।

এসব অভিযোগ স্বীকার করে সজীব বলেন, আমি আরবি পারি না। তাই ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ পরিবর্তনের আবেদন করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড.  রইছ উদ্দীন বলেন, বিভাগ পরিবর্তনের জন্য রেজাল্ট প্রকাশ করার সময় বিষয়টি আমাদের সামনে আসে। ডেপুটি রেজিষ্ট্রারের কাছে আবেদন গেলে তিনি সন্দেহ হলে আমাকে জানান। এরপর তার সকল কাগজপত্র চেক করে দেখা যায়, সকল কাগজপত্রে জাল স্বাক্ষর ও সীল দেওয়া।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: