ঢাকা | রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্তের বাঁধনে লেখা থাকবে: রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৩ ০২:১০

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৩ ০২:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে ছিল, বাংলাদেশ-ভারতের সে সম্পর্ক রক্তের বাঁধনে লেখা থাকবে। মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের সহযেগিতায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, তিস্তা ব্রিজ ও ভৈরব ব্রিজের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। আজ রবিবার (২৩ জুলাই) রেল ভবনের সভা কক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ভারতের মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ট্র্যাক, দ্বিগুণ করার জন্য চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, আজকের এই চুক্তির মাধ্যমে WD-2 ডিজাইন, সরবরাহ, ইনস্টলেশন এবং ৭টি স্টেশনে কম্পিউটার ভিত্তিক ইন্টারলক সিগন্যালিং সিস্টেমের পরীক্ষা-কমিশন করা হবে, যার মধ্যে নির্বাচিত লেভেল ক্রসিংগুলোর ইন্টারলকিং এবং অপটিক্যাল ফাইবার ভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেমের কাজ এবং আন্তঃসংযোগ ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সিস্টেমের জন্য সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ৭৫ সালের পরে স্বাধীনতা বিরোধীরা কোনও উন্নয়ন করেনি, এমনকি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক ছিল, সম্পর্কের উন্নয়নের কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। ছিটমহল সমস্যা, গঙ্গা চুক্তি, পার্বত্য শান্তিচুক্তিসহ দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। রেলওয়ে ব্যবস্থায় আমাদের ইন্টার সেকশন পয়েন্ট যেগুলো ছিল তার ৮টির মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও ভারতের সঙ্গে আমাদের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ডাবললাইনে রূপান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ডাবললাইন করা হয়েছে। আখাউড়া থেকে আগরতলা, খুলনা থেকে মোংলা, ঢাকা থেকে পদ্মা ব্রিজ হয়ে ভাঙ্গা এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী অচিরেই উদ্বোধন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া এবং কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড পক্ষে সুভারজিত জানা সই করেন। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: