
ইসলামের মর্যাদাপূর্ণ দিবসগুলোর মধ্যে অন্যতম এই দিবস। তাই এদিন রোজা রাখা সুন্নত। ইসলামের ইতিহাসের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা এই দিনে সংঘটিত হয়েছে। এদিন নবী মুসা (আ.) ও তাঁর জাতি জালিম শাসক ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিল।
অত্যাচারী জালিম শাসক ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে নবী মুসা (আ.) মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এদিন রোজা রাখতেন। তাঁকে দেখে ইহুদি জাতিও রোজা রেখে দিবসটি উদযাপন করত। মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) ইহুদিদের এদিন রোজা রাখতে দেখেন। এ ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেছিল, ‘এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। এদিনে মহান আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাঈলকে ফেরাউনের কবল থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং ফেরাউন ও তার বাহিনীকে ডুবিয়ে মেরেছিলেন।
এর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মুসা (আ.) রোজা রাখতেন, তাই আমরাও রোজা রাখি।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুসা (আ.)-কে অনুসরণের ক্ষেত্রে আমরা তাদের চেয়ে বেশি হকদার। এর পর থেকে তিনি নিজে আশুরার দিন রোজা রাখেন এবং অন্যদের তা রাখার নির্দেশ দেন। অন্য হাদিসে আশুরার দিন রোজা রাখলে এক বছরের পাপমোচনের কথা বলা হয়েছে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৩৮)’।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: