
মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে একই দিনে দুইটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও তানবীর। ১৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৩টায় উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের চম্পকদি গ্রামে স্কুল ছাত্রী নাজমা আক্তারের বাল্য বিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়।
উপজেলার চম্পকদি গ্রামের আজিজুল হাওলাদরের মেয়ে নাজমা আক্তার (১৬) স্থানীয় ইছাপুরা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। আর একই উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের আ: হাই বেপারীর ছেলে মারুফ বেপারী (২২) সঙ্গে শুক্রবার বিয়ের আয়োজন করে অভিভাবকরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তানবীর মোহাম্মদ আজিম মেয়ের বাড়িতে গিয়ে আদালত বসিয়ে এই বিয়ে ভেঙ্গে দেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, সিরাজদিখান থানা সাব ইন্সপেক্টর সুমন মিয়ার নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ।
এদিকে, এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে ইউএনও জানতে পারেন একই গ্রামে তসলিম শেখের মেয়ে লিমা আক্তারের(১৬) সাথে একই এলাকার নুরু মাঝির ছেলে রিপন মাঝির(৩২) সাথে আরও একটি বাল্য বিবাহের আয়োজন চলছে। এ সময় তিনি ওই বাল্য বিয়েও বন্ধ করে দেন।
বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তানবীর মোহাম্মদ আজিম জানান, আমি বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পারি বাল্য বিবাহ হচ্ছে । আমার অন্য প্রোগ্রাম বাদ দিয়ে আমি বাল্য বিবাহ বন্ধ করি । উভয় পক্ষকে বুঝাতে সক্ষম হই বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি ।তারা বাল্য বিবাহ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তাদেরকে কোন জেল জরিমানা না করে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আঠার বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দেয়া হলে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: