
ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা যথাসম্ভব বাজে হয়েছে জিম্বাবুয়ের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭০ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল দলটি। সে দুঃস্বপ্ন ভুলতে অবশ্য সময় বেশি নেয়নি জিম্বাবুয়ে। ‘প্রিয়’ শ্রীলঙ্কাকে পেয়েই ব্যাটের ধার খুঁজে পেয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে ২৯০ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনন্য এক দিন আজ। বাংলাদেশের প্রথম কোনো ভেন্যু হিসেবে ১০০তম ওয়ানডে ম্যাচ হচ্ছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। এমন এক অর্জনে নাম লেখালেন কে? বাংলাদেশের কেউ নন, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা! এই মাঠের প্রথম ও ১০০তম দুই ম্যাচেই খেলার সৌভাগ্য হলো তাঁর। এ জন্য হয়তো দায় মেটাতে নামলেন তিনি।
২০০৬ সালে মিরপুরের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৩ রানে আউট হয়েছিলেন মাসাকাদজা। সে ম্যাচে তাঁর দলও করেছিল আত্মসমর্পণ। গত ম্যাচে অযথা এক শট খেলে ১৫ রানে আউট হয়েছেন, আরেকটি হতাশার ম্যাচ দেখতে হয়েছে তাঁকে। আজ একটু চাপেই ছিলেন মাসাকাদজা। প্রথম ওভারেই দুই চার, নড়েচড়ে বসতে হলো সবাইকে। প্রথম ১০ ওভার ধরে রাখলেন এমন আগ্রাসন। বিনা উইকেটে ৬৪ রান তুলে শ্রীলঙ্কাকেই চাপে ফেলে দিলেন মাসাকাদজা ও সলোমন মিরে।
১০ রানের মধ্যে মিরে ও আরভিন আউট হলেও জিম্বাবুয়ের ইনিংস লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি। কারণ মাসাকাদজা যে এরই মাঝে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটি। তবে যখনই মনে হচ্ছিল আজ সেটাকে ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেন, তখনই আউট এই ওপেনার। ৮৩ বলে ১০ চারে ৭৩ করেছেন মাসাকাদজা। জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আউট হতেই শ্রীলঙ্কার বোলাররাও লাইন-লেংথ ফিরে পেলেন। বলের গতিও কমিয়ে দিলেন, যেন মিরপুরের উইকেটে রান তোলার কাজটা কঠিন হয়ে যায়।
কিন্তু সিকান্দার রাজা আগের ম্যাচের ফর্ম টেনে আনলেন। ৬৭ বলে ৮১ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলে শেষভাগে আবার দলকে টেনে নিলেন। শেষ ১০ ওভারে ৭৬ রান তুলে দিলেন দলকে। তখনই মনে হলো, জিম্বাবুয়েকে হেলাফেলা করাটা ঠিক হচ্ছে না।
এ দলই শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতে এসেছে। সেটিও বেশি দিন আগে নয়। গত জুন-জুলাইয়ে। প্রায় ৯ বছর পর সেবার প্রথম দেশের বাইরে সিরিজ জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। আজ শুরু থেকে প্রত্যয়ী জিম্বাবুইয়ানরা যেন ছয় মাস আগের কথাই শ্রীলঙ্কাকে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে। যদিও অর্ধেক কাজ এখনো তাদের বাকি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: