ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

চবিতে তরুণ কলাম লেখক সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত

চবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২৪ ২০:২৮

চবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২৪ ২০:২৮

চবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফেরাম  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কতৃক "২দিনব্যাপী অন্তবিশ্ববিদ্যালয় তরুণ লেখক সম্মোলন ২০২৪" এর দ্বিতীয় দিনের সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় তিন শতাধিক তরুণ লেখক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক গিরেন্দ্র চক্রবর্তী ও কারিশমা ইরিন সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ইত্তেখারুল ইসলাম সিফাতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী। এছাড়াও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, কলামিস্ট ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক আবুল মোমেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সবেক গভর্ণর, বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমোরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান তরুণ লেখকদের উদ্দেশ্যে বলেন, একজন আদর্শ বা ভালো লেখক হওয়ার জন্য নিয়মিত লিখতে হবে। কারণ একদিনে ভালো লেখক হওয়া যায় না।  ভালো লেখক হওয়ার জন্য ভলো বই এবং বাস্তবমুখী বই পড়তে হবে যা আমাদের শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধিতে কাজে দিবে। তরুণ লেখকদের নিজস্ব লেখাশৈলী ও ভাষাশৈলী তৈরী করতে হবে। আমাদের লেখার উপাদান  আমাদের  চারপাশের বাস্তব পরিবেশ থেকে তুলে নিয়ে  আসতে হবে। াামরা লিখতে গিয়ে   বিভিন্ন সমস্যসার সম্মুখীন হব, সেক্ষেত্রে আমাদের অধ্যবসায় ও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।

প্রধান আতিথির বক্তব্যে অধ্যপক ড. আবু তাহের বলেন,আমদের লেখনী সহজ, প্রাঞ্জল ও বোধগম্য ভাষায় লিখতে হবে।তরুণদের ইউনিক লেখা লেখা উচিত। এজন্য পৃথিবীর বিখ্যাত লেখক এবং স্মরণীয়  রাজনীতিবিদদের বিখ্যাত বইগুলো পড়তে হবে। আমাদের দেশে অনেক ভালো লেখক আছে ওনাদের বই পড়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।তরুণ লেখকদের  পক্ষপাতহীন বা নিরপেক্ষ লেখা লিখতে হবে।তিনি তার লেখনী জগতের কথাও স্মৃতিচারণ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, তরুণরা হলো ফুলের কলির মতো পাপড়ি হয়ে আস্তে আস্তে ফুটবে। আমরা একসময় থাকবো না তবে তরুণরা থেকে যাবে। আপনাদের বয়সটা আকাশে উড়ার মতো আপনারা লেখনির মধ্যে সেটাকে আরো উড়াবে। আপনি যা লেখেন তারমধ্যে যদি সংকীর্ণমনা থাকে তাহলে কখনো আপনার লেখা মানুষের মুক্তির পাথেয় হবে না। পৃথিবীর বিখ্যাত মনিষীদের বইগুলো আপনাদের অবশ্যই পড়তে হবে। বিভিন্ন লেখক এবং ব্যক্তিদের আত্মজীবনী পড়তে হবে। আপনারা পড়বেন এবং লেখবেন মানুষের মুক্তির জন্য।

এছাড়াও প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি মো: সাখাওয়াত হোসেন, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের উপ-সম্পাদক কাজী আবুল মনসুর, প্রাবন্ধিক,সাহিত্যক ও কলামিস্ট কামরুল হাসান বাদল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: