
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে সেনাবাহিনীর ৬নং বিএমএ লং কোর্সএর সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল আজম দখিনা সিটি হাউজিং নাম দিয়ে ২০০২/৩ সালে ব্যবসা শুরু করেন আশুলিয়া জিরাবোতে। কিন্তু ভূমিদস্যুতার কারণে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে মুখে সুবিধা করতে না পেরে সেখান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাহপুর মেস্তাপাড়ায় দখিনাসিটি হাউজিং কোম্পানির কাযক্রম ২০০৪ সালে আবার শুরু করে। যেহেতু হাউজিং ব্যবসা পুরাপুরি ধান্দাবাজি। যতটুকু শুনেছি কর্নেল আরিফুল আজম সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন অনিয়মের অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে গিয়েছিলেন।
যেহেতু প্রথমে মানুষের বাধার মুখে জিরাবো থেকে পালিয়ে এসে ব্যবসা আবার শুরু করেছে। তাই খুব চল-চাতুরী করে এলাকার মেম্বার হতে কিছু মাস্তানদের চাকুরী আর টাকার লোভ দেখিয়ে সুকৌশলে নামে মাত্র মূল্য কিনে সরকারি খাস জায়গা দখল করে প্লট বিক্রয় করতে শুরু করে। বেশিরভাগ সরকারি খাস জায়গা বলে নামজারি করে এখনো প্লট বুঝিয়ে দিতে পারেনি।
কুমারখদা খাল ভরাট করে প্লট করে বিক্রয় ফেলেছে। লেখালেখির কারণে খালের ছিন্ন রেখেছেন মাত্র।
নবাবী স্টেটের জায়গা দখল করে প্লট বিক্রয় করলেও গত ১৫ বছরের গ্রাহকদের খারিজ করিয়ে দিতে পারছেনা।
নবাবেরা থাকতে দেওয়া জায়গায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া বাড়িতে আদিবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যুৎ বিহীন করে রেখে তাদের জায়গা দখল করতে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করছে। মানুষের বসতবাড়িও তাদের জায়গা বলে প্ল্যান দেখিয়ে প্লট বিক্রয় করছে।
সরকারি গ্যাস লাইনের রাস্তার জায়গা দখল করে প্লটও বিক্রয় করে ফেলেছে । ইতিমধ্যে গ্যাসের রাস্তায় প্লট করা বাউন্ডারি আছে।
হাউজিংয়ের একটু পিছনে খুন্ডা গ্রামের হিন্দুদের জায়গা দখল করতে মরিয়া প্রায় ৫০/৬০ পরিবারকে বিদ্যুৎ নিতে দিচ্ছেনা।
২০০৪ সালে প্রজেক্ট শুরু করেও এখন পর্যন্ত মোট ৩০ বিঘা জায়গা ক্রয় করে করেছে। সরকারের টেক্স ফাকি দিতে যার বাজার মূল্য দেখিয়েছে মাত্র ১০ হাজার টাকা শতাংশ করে। অথচ বিজ্ঞাপন দিচ্ছে আর গ্রাহকদের প্ল্যান দেখাচ্ছে তাদের ১২০০ বিঘা জায়গায় বহু হাজার প্লট।
অনেক মানুষকে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে জায়গা দখলের পায়তারা করছে। ওয়াইলার সুরুজ গাজীর বাড়ির জায়গা দখল করতে গিয়েও ঝামেলা করেছে দখিনাসিটি। স্থানীয় নেতা হালিম মুক্তারের সহযোগিতা জায়গা দখল করতে পারেনি।
সবচেয়ে বড় সাক্ষী স্থানীয় নুরুমিয়ার জামাইয়ের বাড়ির যা দখলে মরিয়া হয়ে মামলার পর মিথ্যা মামলা দিয়ে ভুক্তভোগী করছে পরিবারটিকে।
আর এ সবই হচ্ছে স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল আলিমের ছত্রচ্ছায়ায়। যেটাতে বিরুলিয়ার চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন হতে এলাকার নেতারাও দখিনাসিটি হাউজিং নিয়ে খুব বিরক্ত। কিন্তু চেয়ারম্যান নিজের অবস্থান থেকে কিছুই করতে পারছেনা। কারণ হাউজিং কোম্পানি গুলো অবৈধ টাকার জোরে আর এদের খুঁটির জোরের কারণে।
যেহেতু নদ নদী ও সরকারি জায়গা দখলবাজদের উচ্ছেদ অভিযান চলছে। সুতরাং দখিনাসিটির বিরুদ্ধে চলবে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: