ঢাকা | রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

চবি ছাত্রের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, ক্ষুব্ধ শিক্ষর্থীরা

চবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৪ ২২:৩০

চবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৪ ২২:৩০

চবি প্রতিনিধি : সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের দাবিতে দেশব্যাপী চলমান কোটা আন্দোলনের অংশ হিসেবে "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের" ব্যানারে  আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে(চবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১১জুলাই) বেলা সাড়ে ৩ টায়  শহরের বটতলী স্টেশনে ছাত্র জমায়েত হয়,সেখান হতে তারা টাইগারপাস এলাকায় আসলে পুলিশ সেখানে তাদের উপর একতরফা হামলা করে এবং ধাওয়া দিয়ে নিয়ে আসতে থাকে।ধাওয়া করে নগরীর ২ নম্বর গেট পর্যন্ত নিয়ে আসে, সেখানেও পুলিশ মেতায়েন ছিল, এমতবস্থায় পেছন এবং সামনে থেকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের  আন্দলনের উপর দ্বিতীয়দফা আক্রমণ করে। পুলিশের এই হামলায় সমন্বয়কারী রাফিসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা "আমার ভাইয়ের উপর হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই।" "পুলিশ! ভুয়া -ভুয়া," "ব্লকেড ব্লকেড -সারা বাংলা ব্লকেড।"  "মেধা না কোটা? মেধা- মেধা", "দালালি না রাজপথ,,, রাজপথ রাজপথ," "মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না," "কোটার বিরুদ্ধে -লড়াই হবে একসাথে বলে স্লোগান দেন।"

চবির ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এ্যাকাউন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক বলেন,আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ টাইগারপাস ও ২ নাম্বার এলাকায় আতর্কিত হামলা করেছে, এতো  আমাদের সমন্বয়কারি রাফিসহ বেশ কয়েকজন ভাইবোন আহত হয়েছে।আমরা এই অযৈক্তিক হামলায় আনেক ক্ষুব্ধ, আমরা এই হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই হামলার কারণে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গণ জোয়ারের সৃষ্টি করবে। কুমিল্লার হামলারও তিব্র নিন্দা ওপ্রতিবাদ জানাই।

ইংরেজি বিভাগের (২২-২৩) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসীর বলেন, পুলিশের এই হামলা আমাদেরকে আমাদের যৈক্তিক দাবি থেকে সরিয়ে আনতে পারবে না।  আমদের উপর যত হামলা, মামলা হোক না কেনো আমরা আমাদের দাবিতে আনড় থাকব এবং আমরা আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়ব ।৫২,৬২,৬৯,৭১,১৮ আন্দোলনে আমরা দাবি আদায়ের জন্য  আমাদের রক্ত দিয়েছি, প্রয়োজনে এবারও রক্ত দিব, তবুও আমরা  আমাদের নায্য দাবি আদায় করব।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি- সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যে কোটা রয়েছে সেটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করতে হবে।এই দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে টানা দশ দিন আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়ায় ১১ তারিখে শিক্ষার্থীরা দেশব্যপি সর্বাত্মক বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি গ্রহণ করে। এই কর্মসূচিতে পুলিশ অর্তকিত হামলা চালা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: