
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ সারাদেশে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য আমরা পারি, আমি পারি (উই ক্যান, আই ক্যান)।
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এ-ব্লকের সামনে থেকে অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে ডি-ব্লকে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি-পূর্ব সমাবেশে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ক্যান্সারের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সত্যিই উদ্বেগজনক। ভেজাল খাবার, শস্য উৎপাদনে কীটনাশকের ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ, ধূমপানসহ নানা কারণে মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, যে কোনো ধরনের ক্যান্সার আগে-ভাগে চিহ্নিত হলে তা নিরাময়, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা সম্ভব। সকল ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলম, জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং ও প্রশিক্ষণের জন্য জাতীয় কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা প্রমুখ।
এদিকে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরাস্থ আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল (এএমসিজিএইচ) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান উল্লেখ করে এতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর আনুমানিক প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০৩০ সালে এই হার বেড়ে হবে শতকরা ১৩ শতাংশ।
তারা বলেন, প্রতিবছর দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ এবং প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি লোক এ রোগে মৃত্যুবরণ করে।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর হার ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, পুরুষের ফুসফুস ও মুখগহ্বরের ক্যান্সারে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। আর মহিলাদের স্তন ও জরায়ু মুখের ক্যান্সারে মৃত্যুর হার বেশি।
সঠিক সময়ে ক্যান্সার সনাক্ত করা হলে এক-তৃতীয়াংশ ক্যান্সার প্রতিরোধ্য এবং এক-তৃতীয়াংশ অনিরাময়যোগ্য ক্যান্সার উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে উপশম বা কষ্টমুক্ত স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা চিত্রনায়ক ফারুক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এএমসিজিএইচ-এর মেডিকেল সার্ভিসেস-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান চৌধুরী, আইইউবিএটি ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুর রব ও হার্ভার্ড ইউনির্ভাসিটির প্রফেসর ড. জাহিদুল ইসলাম।
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে তথ্য উপস্থাপন করেন আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল (এএমসিজিএইচ)-এর সিনিয়র কন্সালটেন্ট অনকোলজি অধ্যাপক ডা. এ এম এ শরীফুল আলম।-খবর বাসসের
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: