ঢাকা | সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

ইবি ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ, পরবর্তীতে প্রত্যাহার

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২৫ ২৩:১৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২৫ ২৩:১৭

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আভ্যন্তরীণ ক্যাম্পাস দোকানদারের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন সংলগ্ন দোকানদার আব্দুল আহাদ এ অভিযোগ করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে অভিযোগ তুলে নেন ওই ভুক্তভোগী দোকানি।

গতকাল শনিবার (৫ জুলাই) আব্দুল আহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দিয়ে পরে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ উল্লেখ করে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন ওই ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত দুই নেতা হলেন- ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লাস মাহমুদ এবং ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন।

অভিযোগপত্রে আহাদ বলেন, কয়েকদিন আগে ছাত্রদলের এক কর্মী উল্লাস আমাকে দোকান বন্ধ করতে বলে। দোকান বন্ধ না করা হলে ৫ জুলাই দুপুর একটায় তার সাথী সাব্বিরকে সাথে নিয়ে আমার দোকানে আসে এবং তাদের কথামত দোকান বন্ধ না করায় চাঁদা দাবি করে। যদি চাঁদা না দেই পরবর্তী আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়।

পরবর্তীতে প্রক্টর বরাবর আরেকটি আবেদন করে অভিযোগপত্র তুলে নেয় আব্দুল আহাদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল কর্মী উল্লাসের সাথে ভুল বোঝাবুঝির জন্য প্রক্টর স্যার বরাবর একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে উক্ত অভিযোগ উত্তোলন করতে চাই।’

ভুক্তভোগী দোকানির কাছ থেকে জানতে চাইলে বলেন, ‘ভাইয়ের রেফারেন্সে এমন করছিল। তবে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখন স্বাভাবিক আছি। কোনো সমস্যা নাই।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা উল্লাস মাহমুদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করা হয়েছে আবার কেন প্রত্যাহার করা হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমি তো ওই দোকানিকে চিনিই না।উনার সাথে আমার কোনোদিন দেখাও হয়নি। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র।’ তবে অপর অভিযুক্ত সাব্বির হোসেনকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ জানান, ‘যদি তারা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকে এবং তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুপারিশ করা হবে। যদি তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তাহলে তারা ছাত্রদল করতে পারবে না।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘প্রথমে অভিযোগ দিয়ে দোকানদার আহাদ পরে প্রত্যাহার করেছে। সে বলেছে, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’


মো. সামিউল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: